দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশ ষাটোর্ধ্বদের

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব বয়সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি; ৮৫৫ জন। অর্থাৎ মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এরপর ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৭১ জন। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪৭ জন ও ২১ থেকে থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭০ জন ও ১১ থেকে ২৩ জন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ সবচেয়ে কম মৃত্যু শূন্য থেকে ১০ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে।

শুক্রবার (০৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি এও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১১৪ জন। সবমিলে আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯১ জনে।

তিনি জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সারাদেশে ৭১টি ল্যাব আছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮১টি। আগের নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আট লাখ ১৭ হাজার ৩৪৭টি।

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪২ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এরমধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন। বাসায় মারা গেছেন ১১ জন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

Share this post

scroll to top