তীব্র স্রোতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে যমুনায় নৌকাডুবি : ২ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় যমুনা নদীতে নৌকা ডুবে দুই নারী নিহত এবং শিশুসহ ৫ জন নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর পাকুরিয়ার চর এবং বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নৌকাটি যমুনা চরের চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের মানিকদাইড় চর থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের যমুনার কালিতলা ঘাটে যাচ্ছিল। নিহতদের লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। ইতিমধ্যেই রাজশাহী থেকে ডুবুরী রওয়ানা হয়েছে। নিহতরা হলেন সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিকদাইড় গ্রামের মনসের আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৮) ও জামালপুর জেলার মাদারগন্জ উপজেলার কয়লাকন্দি গ্রামের ইউুসুফ আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৩০) । ওই ঘটনায় দুই শিশু ,এক নারীসহ পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মানিকদাইড় ঘাট থেকে উপজেলা সদরের কালিতলা ঘাটের দিকে রওনা হয়। ঈদের পরদিন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যেই তারা নৌকায় উঠেছিল। তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি পাকুরিয়ার চর এবং বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছার পর পরই তার তলা ভেঙ্গে যায়। এতে দ্রুত নৌকাটি দ্রুত ডুবে যায়। এরপর তীব্র স্রোতের মধ্যেও যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে নিকটবর্তী তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে দুই নারীসহ ৭জন আর ফিরতে পারেন নি। পরে দুই নারী লাশ নদীতে ভেসে উঠলেও অন্য পাঁচজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার আশঙ্কা তীব্র স্রোতে নিখোঁজ কেউ জীবিত নেই।

সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ জানায়, নিহত আমেনা বেগম ও জোহরা বেগমের লাশ সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। যারা নিখোঁজ তারা হলেন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার পাকরল গ্রামের জওহর আলী ও তার ৭ বছরের কন্যা সুরমা, একই উপজেলার চর পাকেরদহ গ্রামের জাহেদুল, তার ২ মাস বয়সী শিশু এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদাইড় গ্রামের রেজউল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম।
সারিয়াকান্দি থানার সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত কুমার ঘোষ জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল-আমিন জানান, বর্তমানে স্থানীয় নৌকার মাঝিদের মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। তাছাড়া রাজশাহী ও রংপুর থেকে ডুবুরি চাওয়া হয়েছে তারা এরই মধ্যে রওনা হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস বগুড়ার সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তাদের দুটি টিম কাজ করছে।

Share this post

scroll to top