তীব্র গরমেও শরীর থাকবে এসি’র মতোই ঠান্ডা

গত কয়েক দিনের গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই অস্থিরতা থেকে বাঁচতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে
সঠিক খাবার নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে:

এখন ফলের সময়, এই মধুমাসে রসালো ফল খেয়েই কাটিয়ে দিতে পারেন এক বেলা। গরমও কম লাগবে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও হবে শক্তিশালী। আসুন জেনে নেই মৌসুমী এই ফলগুলো থেকে আমরা কি ধরনের উপকারিতা পেতে পারি:

গরম ও ক্লান্তি কাটাতে তরমুজের বিকল্প নেই। তরমুজের রসে ভিটামিন এ, সি, বি২, বি৬, ই এবং ভিটামিন সি, ছাড়াও পটাশিোম, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, ইত্যাদি থাকলেও, ক্যালোরির মাত্রা কম। তরমুজের প্রায় পুরোটাই পানি, তাই এটি খেলে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়। শরীর ঠান্ডা থাকে।

সব থেকে সস্তায় এবং সহজে পাওয়া যায় ভিটামিন সি’র বড় উৎস লেবু। বাইরে থেকে ফিরে বা বেশি গরম লাগলে এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন। প্রচণ্ড গরমে এ শরবত শরীরকে সহজেই ঠাণ্ডা করে।

সারা বছর পাওয়া যায় দামও কম অথচ পুষ্টিতে ভরপুর কলা। গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে যে তরল পদার্থ বের হয়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। এ উপাদানটি কলার মধ্যে রয়েছে, তাই গরমের সময় কলা খান নিয়মিত।

আমে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার, শালজাতীয় উপাদান ও ভিটামিন সি, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে। বিশেষ করে ক্ষতিকারক লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের মাত্রা। এক কাপ অর্থাৎ ২২৫ গ্রাম আমে রয়েছে ১০৫ গ্রাম কিলোক্যালরি। আরও রয়েছে ৭৬ শতাংশ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও রোগ প্রতিরোধকারী ভিটামিন সি, ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ, ১১ শতাংশ ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি৬, ৯ শতাংশ ফাইবার, ৯ শতাংশ কপার, ৭ শতাংশ পটাসিয়াম এবং ৪ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম। আম শুধু স্বাদেই সেরা না, পুষ্টিতেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

এছাড়া জাম, জামরুল, লিচু, কাঁঠাল, কামরাঙাসহ প্রতিটি ফলেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা শরীরের নানান রোগবালাই দূর করে আর শরীরকে রাখে সুস্থ। গরমেও আরাম ও স্বস্তি দেয়।

Share this post

scroll to top