তিস্তার পানি কমলেও রংপুরের ৮০০ পরিবার পানিবন্দি

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে আসা তিস্তায় পানি কমতে শুরু করেছে। রোববার সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ৮০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ওইসব এলাকার ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে।

গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে গঙ্গাচড়ার সাতটি ইউনিয়নের তিস্তার ১৫টি চরে বসবাসকারী প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিনবিনা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাকা সড়ক পড়েছে হুমকির মুখে। বিভিন্ন চরে সবজি, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু বলেন, বিনবিনা এলাকায় ১০০ পরিবার পানিবন্দি। এছাড়া চর চিলাখাল চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। একটি রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এতে আরও কয়েকশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলী ও বাগেরহাট এলাকায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে বালাপাড়া, টেপামধুপুর, শহীদ বাগ ও নাজিরদহ। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

কাউনিয়া উপজেলা পরিষদেও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঢুসমারা চরে কয়েকশ মানুষ এখন রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া উপজেলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমপক্ষে ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

এদিকে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের কমপক্ষে ১০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

ছাওলা ইউপি চেয়ার শাহ আব্দুল হাকিম জানান, পানি এখন অনেকটা কমে গেছে। তার পরেও দুটি ইউনিয়নের কয়েক’শ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে।

Share this post

scroll to top