তামিল নায়িকাদের কেন খোলামেলা নাভি ও পোশাক পরতে হয়?

বিনোদন ডেস্ক : তামিল নায়িকাদের কেন খোলামেলা নাভি ও পোশাক পরতে হয়? তা কি জানেন? নারী শরীরের খোলা বিভাজিকায় পথ হারানো পথিক পুরুষের সংখ্যা কম নয়। শরীরের অলিগলিতে লুকিয়ে আছে হাজারো সম্মোহন আর হাতছানি। অথচ নাভিতে এসেই যেন ভরাডুবি হয় পুরুষ নাবিকের। আর নারী শরীরের সেই বিশেষ অঙ্গকেই বারবার বড়পর্দায় তুলে ধরতে চান দক্ষিণী পরিচালকরা। টলি-পাড়া বা বলিউড সিনেমা জগতের চেয়ে দক্ষিণী ছবিতেই যেন বেশি করে ধরা পড়ে নায়িকাদের নাভির সৌন্দর্য। কেন?

এই প্রতিবেদনে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হলো। নারী শরীরের খোলা নাভির আবেদনে কাত হননি এমন পুরুষ ভূ-ভারতে বিরল। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই নাভিমুলুকের রহস্যও যেন প্রায় অধরা। শাড়িতে যে নারীকে এত মোহময়ী লাগে তার অন্যতম কারণ কিন্তু এই নাভির প্রদর্শন।

তা কেন এত আকর্ষণ জমা হয়ে থাকে নারী শরীরের নাভিতে? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণী সিনেপ্রেমীদের নারী শরীরের মধ্যে নাভির দিকেই বেশি আকর্ষণ। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগান পরিচালকরা। বিশেষ করে কোনো গানের দৃশ্যে নায়িকাকে শাড়ি পরানোর অন্যতম উদ্দেশ্য ওই নাভি প্রদর্শনই।

তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজেই প্রেম ও শারিরীক আসক্তিকে ফুটিয়ে তোলা যায়। আর দর্শকদের চাহিদাই তো শেষ কথা। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই প্রাধান্য দেওয়া হয় নাভিকে। অভিনেত্রী সিল্ক স্মিথার শরীরী ভাষায় মত্ত হয়ে উঠতেন দর্শকরা। সেই প্রচলন আজও দক্ষিণী ছবিতে বিরাজমান। একটি ইন্টারভিউতে অভিনেত্রী তাপসি পন্নু বলেছিলেন, কস্টিউম ডিজাইনারদের একটা কথাই বলা হয়।

তাপসি পান্নুপোশাক যতটা পারো নাভির নিচে রাখো। তাহলেই বাজিমাত। অনেক পরিচালক জানিয়েছেন, নারীর নাভির প্রতি দর্শকদের এতটাই আকর্ষণ যে অনেক দক্ষিণী ছবির পোস্টারও তৈরি হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে। আসলে দিনের শেষে ছবি থেকে কত আয় হলো, সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আয়ের অন্যতম হাতিয়ার নারী শরীরের নাভি।

আরও একটি কারণে পরিচালকরা নাভিকে কাজে লাগান। কী রকম? ছবিতে অ্যাডাল্ট কোনো দৃশ্য থাকলে অনেক সময় তাকে এ নথিভুক্ত করা হয়। ফলে সব বয়সের দর্শক সেই ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। এই সমস্যারও সহজ সমাধান করে নাভি। নারী শরীরের যৌন উত্তেজক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নাভি ও নাভির চারপাশের অঞ্চল। ফলে নায়িকার সেসব অংশ নায়ক ছুঁলেই দর্শকদের উত্তেজনা বা অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়ে।

এভাবেই একাধারে যেমন ছবিতে শারিরীক চাহিদার দিকটি মেটানো হয়, তেমনই এড়িয়ে যাওয়া যায় কোনো অ্যাডাল্ট দৃশ্য। ফলে U/A তকমা পেতে সমস্যা হয় না। সবমিলিয়ে দক্ষিণী সিনেমা জগতে নারীর নাভি ছবি সুপারহিট করতে বড়সড় ভূমিকা পালন করে, এ বাস্তব উপেক্ষা করার কোনো জায়গায় নেই।

Share this post

scroll to top