Connect with us

জাতীয় সংবাদ

ঢামেক হাসপাতালে ঠাঁই নেই রোগী নিয়ে ছোটাছুটি

Published

on

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগী রাখার ঠাঁই নেই। দূর-দূরান্ত থেকে করোনা রোগী এনে সিট খালি না পেয়ে এ দিক-ও দিক ছোটাছুটি করছেন তাদের স্বজনরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শতকরা ৭৫ ভাগ রোগী বিভিন্ন জেলা থেকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। আর ২৫ ভাগ রোগী রাজধানী ও তার আশপাশ থেকে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢামেকে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। এক দিক দিয়ে লাশ বের করা হচ্ছে, অন্য দিক দিয়ে করোনা আক্রান্ত জরুরি রোগীর ভিড় বাড়ছে। কেউ আবার আইসিইউ না পেয়ে ছোটছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। অনেকেই আবার সিট পাওয়ার আসায় অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্বজনরা অপেক্ষা করছেন কেউ রিলিজ নিয়ে বাসায় গেলে সেই সিটটা যদি কপালে জোটে।

আইসিইউ একটি সিট পাওয়া যেন একটি সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। গতকাল শক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের জরুরি বিভাগের সামনে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল একটি লাশ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে আছে চারপাশ। মৃতের নাম সামছুল আলম (৮১)।

গোপালগঞ্জের মোকছেদপুরের বাসিন্দা। মৃতের মেয়ে সাহারা বেগম জানান, ‘আমার বাবা শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা দ্রুত আইসিইউতে নেয়ার কথা জানান। তখন তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দিন রেখে গত বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করি। এখানে আইসিইউ না পেয়ে তাকে রাখা হয় সাধারণ একটি বেডে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাবা মারা যান।

এ সময়ে দেখা হয় মিরপুর পল্লবী এলাকার বাসিন্দা আবুল মিয়ার সাথে। তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৮) এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছেন। এখন শুরু হয়েছে শ্বাসকষ্ট। পরে কোনো উপায় না পেয়ে প্রথমে মিরপুর ১ নম্বর ডেলটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসরা তাকে রাখেনি। পরে সেখান থেকে টেকনিক্যালস্থ ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেও একই অবস্থা। পরে সেখান থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেও ঠাঁই হয়নি। পরে বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। এখানে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করানোর পরে ওয়ার্ড বয়রা তাকে অক্সিজেন দিয়ে ওয়ার্ডে নিয়ে যান।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ মিয়া (৫৬)। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা।

রোগীর ছেলে কামরুজ্জামান জানান, এখানে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। বিকেলে চিকিৎসকরা জানান তাকে আইসিইউতে নিতে হবে। কিন্তু এখানে আইসিইউ না পেয়ে দুপুরে হাসপাতালে লোকজনদের মাধ্যমে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। তিনি আক্ষেপ করে বললেন বাইরে আইসিইউতে অনেক খরচ কি আর করার আগে রোগীকে তো বাঁচাতে হবে।

করোনা ইউনিটের জরুরি বিভাগে ভর্তির রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢামেকে ৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

করোনা ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজউদ্দিন জানান, তাদের এখানে কোনো সিট ফাঁকা নেই, কিন্তু রোগীর চাপ খুবই বেশি। তাই হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশে অতিরিক্ত সিট বসিয়ে অনেক রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। আবার অনেক রোগী ফ্লোরে রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে করোনা ইউনিটে সব মিলে সাড়ে ৭০০ সিট আছে। কিন্তু রোগী আছে ৮০০র বেশি।

তিনি আরো জানান, এক দিকে রোগী মারা যাচ্ছে অন্য দিকে আবার রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
করোনা ইউনিটের একজন নার্স জানান, যেসব রোগীর এক থেকে দুই লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, তাদের সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের বেশি লাগছে তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। তারপর যাদের অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়, তাদের হাইফ্লো মেশিনের মাধ্যমে দেয়া হয়।

ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরে কোনো রকম বেড ফাঁকা থাকছে না। একটি বেড ফাঁকা হতেই আরেকজন রোগী ভর্তি হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয় ৬৯ জন। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৫৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৮ জন রোগী। শুক্রবার রোগী ভর্তি হয় ৫৩ জন।

রোগীর স্বজনরা আইসিইউ না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখন সোনার হরিণ। এখানে তো সিরিয়াল লেগেই থাকে। একটি সিট ফাঁকা হতেই সিরিয়াল দেয়া রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। খারাপ রোগীদের জন্য সিটের বাইরেও অনেক রোগী ভর্তি দিয়েছি। তাদের শেয়ার করেও রাখছি।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে শতকরা ৭৫ ভাগ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য এসেছেন। রোগীর চাপ বেশি থাকার কারণে সবদিকেই হিমসিমের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমরা সর্বাধিক চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের সেবা দেয়ার জন্য।

Continue Reading

জাতীয় সংবাদ

যাত্রীর অভিযোগ- টিকেটও নেই, ফ্লাইটও ফাঁকা: যে ব্যাখ্যা দিল বিমান

Published

on

খালি বিমান

অনলাইনে টিকেট না মিললেও ফ্লাইটে অনেক আসন ফাঁকা থাকার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বিষয়টি নিয়ে যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মাঝে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে’ অভিযোগ করে বিমান বলেছে, এটা তাদের ‘সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস’।

অনলাইনে বুক করতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না, অথচ দেখা যায় ফ্লাইটে অনেক সিট ফাঁকা– এমন অভিযোগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অনেক দিনের। সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন কিটন শিকদার নামে এক ব্যক্তি, যিনি ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ইতালি শাখার সাবেক সভাপতি হিসেবে।

বুধবার কিটন শিকদার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটের ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন। সেখানে লেখেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন টু বাংলাদেশ ফ্লাইটের আজকের চিএ ১৩/০৩/২০২৪। (বিজি-২০২) সব সিট ফাঁকা। কিন্তু টিকেট করতে গেলে সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং ফুললি বুকড ইত্যাদি দেখায়।

‘কিছু সিন্ডিকেট চোর বাটপারদের কারণে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে তথা বাংলাদেশ সরকারকে। ওদের কারণে বিমানের টিকেট মূল্য সব সময় বেশি এবং বিমানকে সারা বছর লোকসান গুনতে হয়।’

কিটন শিকদারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিমান।

কিটন শিকদারকে উদ্দেশ্য করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত ছবি ও ভিডিও ধারণ করা ও উক্ত ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল যে কোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

‘অতএব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

সেখানে আরও বলা হয়, ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এয়ারলাইন্স ব্যবসায় লিন/পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে (লিন সিজন), কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে (পিক সিজন)।

‘বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইট বর্তমানে লিন সিজনের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বিশেষ উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল সেক্টরে গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।’

বিমান বলছে, ‘আসন খালি থাকার পরও টিকেট কিনতে গেলে বলে টিকেট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি ‘ঢালাও মনগড়া’ অভিযোগ।

‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল টিকেট সর্বসাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট সম্মানিত যাত্রী যে কোনো অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ক্রয় করতে পারবেন। অন্যান্য সকল সেক্টরের ন্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা সেক্টরের সকল এয়ার টিকেটই প্রতিটি বিক্রয় মাধ্যমে বুকিং করা যায়।’

Continue Reading

জাতীয় সংবাদ

অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ে রদবদল

Published

on

bd-Logo

প্রশাসনে দুজন অতিরিক্তি সচিববের দপ্তর বদল করা হয়েছে। এছাড়া দুজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জারি করা আদেশে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) সদস্য মো. মোশাররফ হোসেনকে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খানকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে চট্টগ্রাম এবং যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডলকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে খুলনায় বদলি করা হয়েছে।

Continue Reading

জাতীয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

Published

on

Malayshiya

মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের কাজাং কেটিএম পুনচাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বার্নামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হস্থান্তর করা হয় পুলিশের কাছে।

সেলাঙ্গর রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেপিবিএম) পরিচালক ওয়ান মো. রাজালি ওয়ান ইসমাইল জানিয়েছেন, রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাজাং স্টেশন থেকে পাঁচজন কর্মীর একটি বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহতের মরদেহ রেল ট্র্যাকের পাশে পড়েছিল। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

তবে তাৎক্ষণিভাবে নিহত বাংলাদেশিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

Continue Reading

Trending