ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি মামলায় দুই শিক্ষার্থী রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে আটক দুই শিক্ষার্থীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ আসামিদের জামিন নাকচ করে আসামিদের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মিম ও হৃদয় ওরফে জামান।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঢাবি বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিদের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা বের করতে আসামিদের রিমান্ড প্রয়োজন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ আক্তার রহমান প্রমুখ আইনজীবী আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা আসামিদের নির্দোষ দাবি করেন।

শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন।

সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৮৪টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ডিভাইস এবং শরীর চেক করার মাধ্যমে ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে কর্তব্যরত শিক্ষকরা ওই দুজনকে আটক করেন।

এবার ‘ক’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৫০টি আসনের বিপরীতে মোট ৮১ হাজার ৯৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেন। সেই হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে ৪৬ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন ইলেকট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্বপালন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করলে এই ওয়েবসাইট (admission.eis.du.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top