ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ হলে আছে শতাধিক টর্চার সেল : রুমিন ফারহানা

ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি ছাত্র হলে আছে শতাধিক টর্চার সেল। সেখানে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নিরঙ্কুশ আধিপত্য। র‌্যাগিংয়ের নামে চলে দানবীয় অত্যাচার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উপাচার্য দক্ষ প্রশাসক না দলীয় কর্মী তা এখন বোঝা দায়। সোমবার সংসদের বৈঠকে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ নোটিশের ওপর দুই মিনিটের আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

অপরদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেছেন, পরিস্থিতি এমন যে, রাষ্ট্রের স্বার্থে কথা বলা যাবে না; যদি তা সরকারের বিপক্ষে যায়। দেশের স্বার্থে কথা বলায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারও ওপর নির্যাতন করার আগে তাকে জামায়াত-শিবির নাম দেওয়া এবং তারপর হত্যা পর্যন্ত জায়েজ হয়ে যায়।

রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ার পরও শিবির আখ্যা দিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। একইভাবে ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খুলনা আওয়ামী লীগের এক নেতা দলীয় পদ হারিয়েছেন। চারপাশে ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে মানুষ। নোংরা রাজনীতির চক্করে পড়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের বহু ছাত্র নরপিশাচে পরিণত হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের আরেক এমপি লুৎফুন্নেসা খান দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ১৪টি খুন হয়েছে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে, ছয়টি খুন হয়েছে প্রেমঘটিত ঘটনায়, ছয়টি ঘটেছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। ঢাকা মহানগরীতে, চট্টগ্রামে বিভিন্ন নামে গ্যাং গড়ে উঠেছে। যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়াচ্ছে। প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসীরা এসব গ্যাংকে ছত্রছায়া দেওয়ার কারণে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসার বহনকারী হিসেবে এই কিশোরদের ব্যবহার করা হয়।

তিনি জানান, ঢাকার অদূরে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৯৮৯ জন, যশোর কেন্দ্রে ৩৫৯ জন বালক ও কোনাবাড়ীতে বালিকা কেন্দ্রে ১৫০ জনকে খুন, ছিনতাই, মাদক কারবারি, চুরি, ডাকাতি, শিশু ও নারী নির্যাতন, অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় আটক রাখা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে কিশোরদের দূরে রাখতে মূল কারণ চিহ্নিত করতে হবে। এ ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

Share this post

scroll to top