ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অতিরঞ্জিত প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের প্রতি ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অথচ, একাত্তর টিভির অনলাইন জরিপে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যকে দেশের সাংবাদিক মহল ও সাধারণ জনগণ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রতন শেখ। জানা যায়, তিনি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য।

অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শুক্রবার সকালে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কামাল হোসেন। এরপর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধের বেদির সামনে ড. কামাল হোসেনকে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা? এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে এবং আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি ডিজিটাল ডিভাইসে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারকালীন আমার সহকর্মী সাংবাদিকদের ভৎর্সনা করেন এবং অসম্মানের সাথে উল্টো জিজ্ঞাসা করেন, ‘কত টাকা পেয়েছ? কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছ? তোমাদের নাম কী? দেখে নেব। কোন টিভি/পত্রিকায় কাজ কর? চিনে রাখব।’- এই মর্মে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। যা বাংলাদেশের কোটি দর্শক দেখেছেন এবং তার এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবার পাশাপাশি অবর্ণনীয় অসম্মানিত হয়েছে।

ওই অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, একই সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গভীর ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের এ ধরনের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশে সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী এবং ভয়াবহ হুমকিও বটে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং বাংলাদেশ পেনাল কোড আইনের আলোকে ফৌজদারি অপরাধ।

বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় ওই অভিযোগে।

পুলিশ কর্মকর্তা রতন শেখ বলেন, ড. কামালের বিরুদ্ধে মোস্তাফিজুর রহমান মামলা করতে আসলে আমরা তার অভিযোগটি নিয়ে একটি জিডি করে ডিএমপি অর্ন্তভুক্ত দারুস সালাম থানায় পাঠিয়েছি। তারা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচলানা করবেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top