ট্রাক প্রতি ৭’শ টাকা চাঁদা দাবি করায় যমুনা সারকারখানায় সার আনলোড বন্ধ

ট্রাক প্রতি ৭’শ টাকা চাদা দাবী যমুনা সারকারখানায় সার আনলোড বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবহন ঠিকাদার গ্রামসিকো লিমিটেড কর্তৃপক্ষের। বৃহস্পতিবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী পরিবহন ঠিকাদারের ট্রাক চালক সূত্রে জানা গেছে,বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ করপোরেশন(বিসিআইসি) থেকে পরিবহন ঠিকাদার হিসেবে চট্টগ্রামের ১২২জুবলী ঘাটের ইয়াসমীন প্যালেস এর গ্রামসিকো লিমিটেড ৩০ হাজার মেঃটন ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম কাফকো থেকে যমুনা সারকারখানায় পরিবহনের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে গ্রামসিকো লিমিটেড কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম কাফকো থেকে ৪টি ট্রাকে বিসিআইসি বাফার গুদাম যমুনা সারকারখানায় প্রেরণ করেন। ৪টি ট্রাকের মধ্যে ২টি ট্রাক নং-ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৬১৯৬ ও ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৬৬৮১ দুটি ট্রাকে ২৮ মেঃ টন চট্টগ্রাম কাফকো ইউরিয়া সার বোঝাই নিয়ে বুধবার সন্ধায় যমুনা সারকারখানার আনলোড পয়েন্টে প্রবেশ করলেও যমুনা সারকারখানার সার আনলোড ঠিকাদার মেসার্স রিক্ত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন অন্যান্য পরিবহন ঠিকাদারদের সাথে সমঝোতায় সার অনলোড করলেও গ্রামসিকো লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় ওই দুটি ট্রাকের ড্রাইভার মজনু মিয়া ও আল হাদিস এর কাছে ৭’শত টাকা করে চাদা দাবী করেন। অন্যথায় দাবীকৃত চাদা না দিলে ট্রাক থেকে কাফকো ইউরিয়া সার আনলোড করবেনা বলে ড্রাইভার মজনু মিয়া কে সাফ জানিয়ে দেয়। অপর ট্রাকগুলো সারকারখানার বাহিরে অবস্থান করা নিয়ে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরে এ বিষয়টি গ্রামসিকো লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। এরপর গ্রামসিকো লিমিটেড এর সাকিবুর রহমান গতকাল দুপুরে সার কারখানায় আসলেও ওই সার আনলোড করা হয়নি বলে জানান তিনি। যমুনা সারকারখানার সার আনলোড ঠিকাদার মেসার্স রিক্ত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন প্রতিনিয়ত অন্যান্য পরিবহনের কাছ থেকেও ট্রাক প্রতি ৫’শ টাকা করে আদায় অব্যাহত রেখেছেন বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাংকলড়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিক বলেন, আমদানী করা সার যমুনা সারকারখানায় আনলোড না করার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকির হোসেন কে মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Share this post

scroll to top