টিকা নিতে আমেরিকা থেকে লোকজন বাংলাদেশে আসছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রীপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সবার জন্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি জোরালো রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে স্থাপিত করোনা টিকা-কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পরস্পরকে সহায়তার লক্ষ্যে আমাদের একটি বৃহত্তর অংশীদারিত্ব ও একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। বিশ্বের যে ৩০ থেকে ৩৫টি দেশ কভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন পেয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এমনকি, এখনো অনেক উন্নত দেশও কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পায়নি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, বাংলাদেশ সরকার এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের অনেক আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে ভ্যাকসিন চাইতে শুরু করেন। আমরা সবাইকে ভ্যাকসিন দিব। একজনও বাদ পড়বে না।

টিকা নেওয়ার পর তিনি বলেন, আমাকে যে নারী টিকা দিয়েছেন তিনি খুবই দক্ষ। আমি টেরই পাই নাই। সহজ, একেবারে টেরই পাইলাম না, হয়ে গেল।

টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকাদান শুরুর দুই সপ্তাহের মাথায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকেও সুচারুভাবে টিকাদান কর্মসূচির চলার কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, একটি লোক যদি অসুস্থ থাকে তাহলে এই রোগ দূর হয় নাই। আমরা এজন্য প্রত্যেক লোককে ভ্যাকসিন দিতে চাই। এজন্য আমাদের প্রয়োজন প্রত্যেক দেশের সঙ্গে বড় অংশীদারিত্ব।

মোমেন বলেন, আপনারা জেনে তাজ্জব হবেন, আমেরিকার কিছু লোকজন বাংলাদেশে এসেছে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আমেরিকা থেকে এদেশে আসছেন কেন, ভ্যাকসিন নিতে? বলল, ’ওখানে ভ্যাকসিন কত মাস পরে যে দিবে, আমি জানি না। এ ফাঁকে আমি দেশেও আসলাম, ভ্যাকসিনও নিলাম।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মত এই কর্মসূচিতে টিকা দেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরা।

Share this post

scroll to top