দেশ বাংলা
টানা বৃষ্টিতে ভাসছে সাতক্ষীরা, হাজারো পরিবার পানিবন্দি
সাতক্ষীরার সাত উপজেলার দুইটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে ভেসে গেছে আমন ধানের বীজতলা, রোপা আমন, পুকুর, মাছের ঘের ও সবজি ক্ষেত। পানি থৈ থৈ করছে ৭৮ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া চারদিনের টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ২০ হাজারের মত ঘের। এতে মাছের ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার সকালে রৌদ্র দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেলেও শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে আবারও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার ধুলিহর, ফিংড়ি, ব্রহ্মরাজপুর, লাবসা, বল্লী, ঝাউডাঙা ইউনিয়নের বিল গুলোতে সদ্য রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি অপসারণের কোন পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বাড়িঘরে উঠতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়ের খালও পানি টানতে পারছে না। প্লবিত এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
অতিবৃষ্টির ফলে গদাইবিল, ছাগলার বিল, শ্যাল্যের বিল, বিনেরপোতার বিল, রাজনগরের বিল, কচুয়ার বিল, চেলারবিল, পালিচাঁদ বিল, বুড়ামারা বিল, হাজিখালি বিল, আমোদখালি বিল, বল্লীর বিল, মাছখোলার বিলসহ কমপক্ষে ২০টি বিল ডুবে গেছে। এসব বিলের মাছের ঘের ভেসে পানিতে একাকার হয়ে গেছে। বেতনা নদী তীরবর্তী এই বিলগুলির পানি নদীতে নিষ্কাশন হতে পারছে না। এই পানি পৌরসভার ভিতরে ঢুকছে। গ্রামাঞ্চলের সব পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। বেরিয়ে গেছে শত কোটি টাকার মাছ। সবজি ক্ষেতগুলি ভাসছে পানিতে। মানুষের যাতায়াতও ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনিসহ জেলার সাতটি উপজেলা। সেখানে প্রধান রাস্তার ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব এলাকার মাছের ঘেরও তলিয়ে গেছে।
তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মো. মতিয়ার মোড়ল ও আলিফ রহমান জানান, অতিবৃষ্টির কারণে ভেসে গেছে মাছের ছোট বড় ঘের ও পুকুর। তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ অনান্য ফলস। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
আশাশুনির উপজেলার দক্ষিণ দরগাহপুর গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী হযরত আলী বিপ্লব ও মো. আব্দুস সাত্তার মোড়ল জানান, তার ২০ বিঘার একটি ঘেরে আমপানে ৫ লাখ, ইয়াসে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া গত তিন দিনের অতি বর্ষণে তার ঘের ভেসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা।
শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়ানের ঘের ব্যবসায়ী সোহবার হোসেন জানান, তার ১০০ বিঘার একটি ঘের রয়েছে। সেই ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নূর খান বাবুল জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ নিচু এলাকা এখনো পানির নিচে। যত্রতত্র খালে নেটপটা দেওয়া ও অপরিকিল্পিত চিংড়ি ঘেরের ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে তাদের এলাকা তলিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, কয়েক দিনে যে ব্যাপক বর্ষা হয়েছে তাতে চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। চারিদিক আটকানো, পানি বের হওয়ার সুযোগ নেই। মানুষকে এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেই। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার হাজারও পরিবার ।
সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকোট ফাহিমুল হক কিসলু জানান, পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে মানুষ বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে। টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে পৌরসভার ইটাগাছা, কামাননগর, রসুলপুর, মেহেদিবাগ, রথখোলার বিল, মধুমোল্লারডাঙ্গী, বকচরা, সরদারপাড়া, পলাশপোল, পুরাতন সাতক্ষীরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, ঘুড্ডিরডাঙি ও কাটিয়া মাঠপাড়া, ডেয়ের বিলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবু জার গিফারী জানান, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ২০ টন চাল দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৪৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৫ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষণে জেলার নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির রোপা আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। ৮৬০ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। ৫০০ হেক্টর জমির সবজির ক্ষতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা আবু বাসেত জানান, কালীগঞ্জে ঝড়ে ১৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য উপজেলায় ক্ষতির পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ১৯ হাজার ৪৫৯ টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘেরের আয়তন ১২ হাজার ৬৫ হেক্টর । মাছের ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির আজ (শনিবার) জানান, চলমান অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা ব্যাপী ঘেরের সকল অবৈধ নেট-পাটা স্থাপনকারীকে স্ব-উদ্যোগে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেট-পাটা অপসারণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় নেট-পাটা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, ঘর-বাড়িসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আজকের মধ্যে পাওয়া যাবে ।
আজকের ময়মনসিংহ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
জানুয়ারির মাঝামাঝি এ সময়ে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের চার জেলায় বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল থেকে রাজধানীতে ঘন কুয়াশা। বেলা ১১টার দিকেও কুয়াশা কাটেনি। দেশের অন্যত্রও একই অবস্থা। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে কমেছে আরও। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীত বাড়বে। তবে শীতের তীব্রতা আগামীকাল শনিবার থেকেই কমতে শুরু করবে। আবার আগামী মঙ্গলবার থেকে কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
দেশের চার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেগুলো হলো কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রংপুরে কয়েক দিন থেকে খুব শীত পড়েছে। শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরও কাহিল অবস্থা। তাই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে মানুষের গরম কাপড় ছাগলের শরীরে জড়িয়ে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। ছবিটি রংপুর শহরতলির ময়নাকুঠি এলাকা থেকে তোলা। ১২ জানুয়ারি
রংপুরে কয়েক দিন থেকে খুব শীত পড়েছে। শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরও কাহিল অবস্থা। তাই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে মানুষের গরম কাপড় ছাগলের শরীরে জড়িয়ে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। ছবিটি রংপুর শহরতলির ময়নাকুঠি এলাকা থেকে তোলা। ১২ জানুয়ারিছবি: মঈনুল ইসলাম
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকালে বলেন, শীতের তীব্রতা আগামীকাল থেকে কমে আসবে। তবে ঘন কুয়াশা খুব তাড়াতাড়ি কমবে না। আগামী তিন দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে।
আগামীকাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শীত কমতে শুরু করে আবার মঙ্গলবার থেকে মেঘ দেখা দিতে পারে। তাতে কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি আবার বাড়তে পারে বলে জানান ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাতে শীত আবার বাড়বে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নিকলীতেই, ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো আজ ঢাকাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে গতকালের তুলনায়। আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশ বাংলা
ধর্ষণে খালার সহায়তা ও দেহ ব্যবসা চেষ্টার অভিযোগ কিশোরীর
লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে খালার সহায়তায় কিশোরীরকে (১৭) জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং দেহ ব্যবসা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে ভয়ে ৬দিন পলাতক থাকার পর রোববার সন্ধায় (৩ সেপ্টেম্বর) ওই কিশোরী আপন খালা ও বাবার বিরুদ্ধে সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকায় খালার বাসায় থাকার অনুরোধ জানায় মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২৭ আগষ্ট) রাতে দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের মিয়ারহাট এলাকায়।
এ ঘটনায় রোববার রাতে কিশোরীর মা-বাবা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিশোরীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানার নারী ও শিশু কক্ষে (শেফ হোম) রেখেছেন সহকারি পুলিশ সুপার ও ওসি।
ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী জানায়, রায়পুরের মেঘনার দূর্গম চরে বায়রাঘাটে তাদের জেলে পরিবারের বসবাস। চরে সে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তারা এক ভাই ও এক বোন। গত ২৭ আগষ্ট দক্ষিন চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে কিশোরী দেখে তার পাশে অচেনা এক যুবক (৩৫)। সে চিৎকার করলে মূখ চেপে দুইবার ধর্ষণ করে ওই যুবক। এঘটনা সে তার খালাকে জানালে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলে।
পরদিন কিশোরী বাড়ীতে এসে তার মা- বাবাকে এ ঘটনা জানালে কাউকে না বলার জন্য চাপসৃষ্টি ও বেদম মারধর করে নাক ফাটিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনা বিচার না পেয়ে পরদিন ২৮ আগষ্ট বাড়ী থেকে পালিয়ে মোল্লারহাট এলাকায় তৃতীয়লীঙ্গের এক নারীর কাছে ৫দিন থাকার পর রোববার দুপুরে (৩ সেপ্টেম্বর) রায়পুরের সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে বাবা ও খালার বিরুদ্ধে অচেনা যুবক দ্বারা ধর্ষণে সহায়তা এবং দেহ ব্যবসা করার চেষ্টার অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী। সে শারীরীভাবে খুবই অসুস্থ্য বলেও জানান।
রোববার সন্ধায় সহকারি পুলিশ সুপার ওই কিশোরীর মা-বাবা ও খালাকে থানায় হাজির করেন। মেয়েটির বাবা বলেন, গত ৮ দিন আগে তার মেয়ে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হলে রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারন ডায়রী করেন। পুলিশ মেয়েটির সন্ধান করে তৃতীয় লীঙ্গের এক নারীর সাথে রয়েছে বলে নিশ্চিত হন এবং তাকে ফাঁড়িতে আসার জন্য বলা হলেও মেয়েটি না গিয়ে তার বাবা ও খালার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ করেছেন ।
রোববার রাতে মা-বাবা-খালাকে সাংবাদিক ও স্বজনদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরীকে থানার শেফহোমে রাখা হয়। ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিতের জন্য কিশোরীকে সদর হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ এবং এ ঘটনায় ধর্ষক ও অভিযুক্ত খালাকে (৩০) আটক করা হবে বলেও পুলিশ জানান।
সহকারি পুলিশ সুপার ( রায়পুর ও রামগঞ্জ থানার সার্কেল) শেখ সাদী বলেন, মেয়েটি তার গ্রামের মাদরাসা পড়ুয়া এক ছেলের সাথে সম্পর্ক এবং ছেলেকেই বিয়ে করতে চায়। এতে তার পরিবার রাজি হয়নি। অপরদিকে-নদীর পাড়ে খালার বাড়ীতে বেড়াতে গেলে খালারই সহায়তায় অচেনা যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। দুটি ঘটনায় আমরা মেয়েটির মা, বাবা ও খালাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেই। মেয়েটিকে আরো জিজাসাবাদের প্রয়োজন ও মেডিকেল করানো হতেও পারে, সে জন্যে রাখা হয়েছে।
দেশ বাংলা
ঋণের চাপে লক্ষীপুরে আওয়ামীলীগ নেতার ফাঁস
লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে সানা উল্লাহ (৫৮) নামের এক আওয়ামীলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
(২৮ আগষ্ট) সোমবার সকালে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের কাজী বাড়ী থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা। মৃত সানা উল্লাহ একই এলাকার মৃত শাহাদাত উল্লাহ ছেলে ও সাগর্দী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় চা দোকানী। তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ের বিয়ে, ছেলেকে বিদেশ পাঠানো এবং পরিবারের ব্যয় বাড়তে থাকায় গত এক বছর ধরে রায়পুরের মীরগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বেসরকারি এনজিও সংস্থা প্রজন্ম, রিক ও এসো গড়ি উন্নয়নসহ ১৪টি এনজিও থেকে ঋণ নেন চা সানা উল্লাহ। কয়েকদিন ধরে রিক, প্রজন্ম ও এসো গড়ি উন্নয়নের ম্যানেজার তাদের সংস্থার ঋণ পরিশোধ করার জন্য নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন সানাউল্লাহসহ তার পরিবারকে। এ ঋণ পরিশোধ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনার দিস সোমবার সকালে সানাউল্লাহ তার চা দোকানে যান। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকাল নয়টার দিকে এক ব্যক্তি চা খেতে এসে তাঁর দোকানের শার্টার বন্ধ দেখেন। তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে বসতঘরের পাশে পুকুর পাড়ে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সানা উল্যাহ মরদেহ ঝুলতে দেখেন। এলাকাবাসী সকাল ১১ টার দিকে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় এনজিও রিকের ম্যানেজার তরিকুল, এসো গড়ি উন্নয়নের ম্যানেজার সালাউদ্দিন ও প্রজন্মের ম্যানেজার সফিক উদ্দিন বলেন, আমাদের সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছেন চা দোকানী সানা উল্লাহ। কিস্তির টাকা পরিশোধে তাকে ফোন দিয়েছি। কোন চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।
ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল আলম সুমন বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা সানা উল্যাহ চা বিক্রি করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। স¤প্রতি এক ছেলে বিদেশ পাঠানো ও এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলের লেখাপড়া এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে তিনি কয়েকটি এনজিও এবং কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকেও সাপ্তাহিক পরিশোধের শর্তে টাকা ধারও নেন। ঋণের চাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় সানা উল্যাহ আত্মহত্যা করেন বলে আমরা ধারণা করছি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, বসতঘরের পাশে পুকুর পাড়ে আম গাছে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় সানা উল্যাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
- আদালত6 years ago
গিয়াস কাদের চৌধুরীর হাইকোর্টে আগাম জামিন
- Fashion7 years ago
These ’90s fashion trends are making a comeback in 2017
- Entertainment7 years ago
The final 6 ‘Game of Thrones’ episodes might feel like a full season
- Fashion7 years ago
According to Dior Couture, this taboo fashion accessory is back
- Entertainment7 years ago
The old and New Edition cast comes together to perform
- Sports7 years ago
Phillies’ Aaron Altherr makes mind-boggling barehanded play
- আজকের ময়মনসিংহ6 years ago
সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপি নেতা মারা গেছেন
- Business7 years ago
Uber and Lyft are finally available in all of New York State