টাঙ্গাইলে কাফনের কাপড় পরে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানববন্ধন

‘ভাত দাও, না হলে কিন্ডারগার্টেন খুলে দাও’ এমন ফেস্টুন গলায় ঝুলিয়ে, শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন টাঙ্গাইলে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষক-কর্মচারী এবং মালিকরা।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন ‌অ‌্যাসোসিয়েশন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সকাল ১০টা থেক শুরু হওয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতাসহ প্রায় এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

এ সময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

মানববন্ধন টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন অ‌্যাসোসিয়েশন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ শাহীন, সদস্য সচিব খায়রুল বাসারসহ বিভিন্ন উপজেলার কিন্ডারগার্টেন অ‌্যাসোসিয়েশন কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। আর এসকল কিন্ডারগার্টেনে প্রায় ৮ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১ কোটি। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের কোন অর্থ ব্যয় হচ্ছে না। বরং ৮ লাখ শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ৬৫ হাজার বাড়ির মালিক কিন্ডারগার্টেন থেকে বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন। কিন্ডারগার্টেন সেক্টর দেশে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে এতো বড় অবদানের পরও করোনাকালের দুর্দিনে তাদের পাশে কেউ নেই।’

তারা বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন অ‌্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এরপর জেলার ৭১৩টি কিন্ডারগার্টেনের ৭৭৫৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকাসহ স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সরকারি অনুদান চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর ৬ জুলাই উক্ত আবেদনের কপিসহ কিন্ডাগার্টেনের সমস্যা ও সংকট নিরসনে ৫ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পায়নি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্তরা হাঁপিয়ে উঠেছেন।’

এসময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনতিবিলম্বে কিন্ডারগার্টেন খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় কিন্ডারগার্টেনের বাড়ি ভাড়া পরিশোধের জন্য সরকারি সহায়তা, প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করাসহ কিন্ডারগার্টেন খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক অনুদানের দাবি করেন তারা।

Share this post

scroll to top