জ্বর নিয়ে হাসপাতালে নায়ক-সাংসদ ফারুক

প্রচন্ড জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুক। গত ১৬ আগস্ট তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন সাংসদ ফারুকের ব্যক্তিগত সহকারী শিপন। তিনি সার্বক্ষণিক নায়কের সঙ্গেই থাকছেন।

ফারুকের সবশেষ আপডেট জানিয়ে শিপন বলেন, ‘জ্বর বেশি হওয়ায় স্যারের দুইবার করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। স্বস্তির ব্যাপার হলো, দুইবারই রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনো জ্বর কমেনি। স্যারের আর কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোজঁখবর নিচ্ছেন। জ্বর কমলেই স্যার বাসায় ফিরবেন। সবার কাছে দোয়া চাই।’

এদিকে ১৮ আগস্ট, মঙ্গলবার ছিল খ্যাতিমান এই অভিনেতার জন্মদিন। এদিন ফোন করে ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফারুককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তবে গত ৪৫ বছর ধরে জন্মদিনে কোনো কেক কাটেন না ফারুক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে তিনি এই নিয়ম পালন করে আসছেন।

ফারুকের কথায়, ‘আগস্ট হচ্ছে শোকের মাস। এ মাসে কোনো আনন্দ নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতের পর থেকে বাঙালি জাতির জন্য এই মাস শোকের মাস, বেদনার মাস। আমরা আমাদের মহান নেতা, আমাদের অভিভাবককে হারিয়েছি। তাই পচাত্তরের ওই ঘটনার পর থেকে আমার জীবন থেকে জন্মদিন পালন বা কেক কাটা তুলে নিয়েছি। ৪৫ বছর ধরে আমি কেক কাটি না।’

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল ফারুকের। এরপর ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মিয়া ভাই’সহ শতাধিক ছবিতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

Share this post

scroll to top