জামালপুরে করোনা উপসর্গে নারায়ণগঞ্জ ফেরত নারীর মৃত্যু

jamalpur coronaদেওয়ানগঞ্জ বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মোন্নেপারা এলাকার তিন সন্তানের জননী কোহিনুর  বেগম (৪০) নামে এক নারী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সে একই এলাকার আব্দুলের স্ত্রী।

গতকাল সে নারায়ণগঞ্জ হতে তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে এসেছিল। নারায়ণগঞ্জে  সে শ্রমিকের কাজ করত বলে জানা গেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্থানীয় প্রতিবেশী এবং ইউপি সদস্য তারা মিয়ার সূত্রে জানা গেছে, চর বাহাদুরাবাদ এলাকার মোন্নেপারা নিবাসী আব্দুলের স্ত্রী কোহিনূর তিন সন্তানের জননী। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। দুই ছেলের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর। আরেকজনের বয়স ১১ বছর। এক মেয়ে অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। স্বামীসহ ঢাকায় নারী শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত সে। ইট ভাঙ্গা, মানুষের বাসায় বুয়ার কাজ করা থেকে বিভিন্ন রকম ছুটার কাজ করে বেড়াতো মৃত কোহিনুর গত কাল দুপুর বেলা সে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আসে। আসার পর থেকে সে বুকের শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। আজ দুপুর ১২টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।

যেহেতু করোনার লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে  দাফনের আগে তার এবং তার সঙ্গে আসা দুই সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইইডিসিয়ারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৫টার দিকে মৃত কহিনুরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার মাওলানা মোহাম্মদ সোলায়মানের ইমামতিতে উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মাওলানা মো. আব্দুস সোবহান, কোহিনূরের দুই সন্তানসহ মোট পাঁচজন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সৈয়দ আবু আহমেদ শাফি বলেন, যেহেতু সে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাই আমরা মৃত কোহিনুর বেগমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দিয়েছি। তার সঙ্গে আসা দুই ছেলেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, মৃত কোহিনুরের দাফন সম্পন্ন করার জন্য সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। উপজেলা দাফন কমিটি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় বাহাদুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সাকিরুজ্জামান রাখাল বলেন, মৃত কোহিনুর বেগমের পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র আমি তার পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তীতে তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য আমার সজাগ দৃষ্টি থাকবে।

Share this post

scroll to top