জাবিতে মাদসারা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য না করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি চলমান ভর্তি বৈষম্য নিরসনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জাবির কলা ও মানবিকী অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসায় পডুয়া শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হিসেবে গন্য না করে আলাদা মেধাক্রম করা হতো।

সোমবার এক রায়ে হাইকোর্ট এ প্রক্রিয়াকে বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করেছে এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের (মানবিক,বিজ্ঞান,বানিজ্য যেটাই হোক) সাথে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ প্রদান করতে বলা হয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায় দেয়ার সময় আমি জাবির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলাম। তবে লিখিত কপি এখনও আসেনি। যেহেতু এই সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে তাই পরবর্তী সেশন থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ‘রায়ের পূর্ণাঙ্গ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। মৌখিক আদেশে বলা হয়েছে, ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পরিপন্থি। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭নং ধারা “আইনের দৃষ্টিতে সমতা” এর পরিপন্থি। এ বিভাজনের ফলে মেধার অবমূল্যায়ন ও বৈষম্য তৈরী হয়েছে। সবাইকে তার নিজ অবস্থান থেকে প্রতিযোগিতা করতে দিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘হাইকোর্টের এরকম একটি আদেশের কথা শুনেছি। লিখিত কপি হাতে আসলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

গত বছরের ২০ অক্টোবর কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে উকিল নোটিশ প্রদান করে তিন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. নওসাজ্জামান ও রাকিব হোসেন। উকিল নোটিশের জবাব না দেয়ায় ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করে মহামান্য হাইকোর্ট।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top