জাতিসংঘে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মার্কিন প্রচেষ্টা ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।

আমেরিকার পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে ১১ দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল, আর এর পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে দু’টি করে। খবর রুশ গণমাধ্যম তাসের।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শুক্রবার রাতে অনলাইনে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।

আমেরিকা ও ডোমিনিকান রিপাবলিক প্রস্তাবটির পক্ষে এবং চীন ও রাশিয়া এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বাকি কোনো দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।

মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এখন পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

নিরাপত্তা পরিষদে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, তার দেশ এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

আমেরিকা গত মঙ্গলবারই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন ওয়াশিংটন বুঝতে পারে এটি পাস হবে না তখন শেষ মুহুর্তে এটি উত্থাপন করা থেকে বিরত থাকে।

পরে মার্কিন সরকার তার ভাষায় প্রস্তাবের ইরানবিরোধী বক্তব্যের তীব্রতা কমিয়ে আনে যাতে এটির পক্ষে সব দেশের ভোট আদায় করা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমেরিকার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তেহরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এর ফলে এখন ইরান আগামী অক্টোবর মাস থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমরাস্ত্র বেচাকেনা করতে পারবে।

Share this post

scroll to top