জলদানবের দেখা মিলল জঙ্গলে

গত শুক্রবার আমাজন জঙ্গলে উদ্ধার হল প্রায় ৩৬ ফুটের একটি মৃত তিমি। ব্রাজিলের মারাজো দ্বীপে ওই মৃত তিমির খোঁজ মেলে। ওই দ্বীপের কাছেই মিশছে আমাজন নদী।

ওই তিমিটিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখছে বিচু দ’গুয়া নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবি, নদীর ঢেউয়ে পাড়ে এসে ভেড়ে ওই তিমিটি। মনে করা হচ্ছে, মৃত অবস্থায় ম্যানগ্রোভে আটকে পড়ে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা বলছেন, ওই তিমিটি প্রাপ্তবয়স্ক নয়। এক বছর বয়স হবে তার। তিমিটির মারা যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

দ্বীপে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিচো দাগুয়া ইনস্টিটিউটের একটি দল ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভেতরে এই মৃত তিমিটিকে দেখতে পায়। ছবি তুলে ফেসবুকে দিতেই এই অতিকায় তিমির ছবি ভাইরাল হয়।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এই হাম্পব্যাক প্রজাতির তিমিটি নেহাতই খুদে। এর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুটের মতো। এই প্রজাতি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের তিমির দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫২ ফুটের মতো।

প্রসঙ্গত, এই বিশেষ প্রজাতির তিমিটি বিশ্ববিখ্যাত তার চরিত্রের কারণে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর গান গায় এই তিমি। তাদের গলা থেকে বের হওয়া অদ্ভুত আওয়াজ স্থায়ী হয় দশ মিনিটের কাছাকাছি। এদের মুখগহ্বরের ভেতরে মানুষের মতোই স্বরযন্ত্রও আছে। আর পাঁচটি তিমির মতো এই প্রজাতির তিমিরও বাজারদর ভালই। এর মাংস, চর্বি বিপুল দামে বিক্রিও হয় বাজারে। এই কারণেই ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে রমরমিয়ে চলছে এই তিমির চোরা শিকার।

তাহলে কি শিকারীদেরই হস্তক্ষেপ? কীভাবে পানি থেকে ডাঙায় এভাবে এল এই তিমি? সমুদ্র বিশেষজ্ঞ রেনাতা এমিন অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে জানাচ্ছেন, ‘খুব সম্ভবত ডাঙার খুব কাছে এসে পড়েছিল এই তিমিটি। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউই তাকে ডাঙায় এনে ফেলে।’

তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে প্রাণীবিদরা এই তিমিটির ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top