জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দ্রুততম সময়ে যেন আমদানির এই চাল দেশে আসে তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী আমদানিকারকদের দরপত্র দাখিলের সময়সীমা কমানো হয়েছে। আগে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৪২ দিন সময় দেওয়া হলেও এবারে সময় দেওয়া হচ্ছে ১০ দিন।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। চাল উৎপাদনও কম হয়েছে। এছাড়া গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমরা খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এটা সব সময় দাবি করি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি আগাম বন্যা না হয়, আর যদি কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে না পড়ি, তাহলে আমরা স্বাভাবিক থাকব। তাহলে আমাদের আমদানি করারও প্রয়োজন হবে না। তবে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই চাল আমদানি করা হচ্ছে। আজ যে প্রস্তাবটি এসেছে, সেটার দাম নির্ধারণ করা হবে টেন্ডারের পর। আজ শুধু আমরা আমদানির সময় বেঁধে দিয়েছি।
তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে বেশি যেন আমদানি না হয়ে যায়, সেদিকে তারা লক্ষ রাখবেন। আমদানি বেশি হলে আবার বাজারে প্রভাব পড়বে। পুরো বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করবে। তাদের যেটুকু ঘাটতি আছে বলে তারা মনে করছে, সেটুকুই আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নির্মাণ ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অপারেটর নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন পায়।

এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আকতার।

Share this post

scroll to top