‘ছাত্রলীগ মুসলিম নারীদের পর্দাকে নিষিদ্ধ মনে করে কিনা?’

গত ১৩ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস গোলাম রাব্বানী কর্তৃক বেগম রোকেয়া হলের গেটে ছাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বোরকা ও হিজাবধারী ছাত্রীদেরকে ঢালাওভাবে জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে আখ্যায়িত করায় গভীর উষ্মা প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বলেন, ছাত্রীদের বোরকা ও হিজাব পরা এবং পরপুরুষের কাছ থেকে মুখ ঢেকে চলা- ফেরার সাথে জামাত-শিবিরের কী সম্পর্ক রয়েছে?

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেছেন, মুসলিম সাবালক নারীদের জন্য ঘরের বাইরে চলাফেরার সময় সাবালক পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আড়ালে রাখতে পর্দা করে চলা ফরয তথা ইসলামের অপরিহার্য বিধান। ইসলামের এই অপরিহার্য পর্দার বিধান পালন করার জন্যই ধর্মভীরু মুসলিম ছাত্রীরা বোরকা, হিজাব ও নেকাব পরে থাকেন। এই বোরকা, হিজাব, নেকাবের সম্পর্ক তো ইসলামের সাথে।

আল্লামা কাসেমী প্রশ্ন তুলে বলেন, ছাত্র নেতা গোলাম রাব্বানীকে বলতে হবে, তার সংগঠন বোরকা, হিজাব বা নিকাবের বিরোধী কিনা? তাদের ছাত্রী সংগঠনের নেত্রী ও কর্মীদের হিজাব পরতে বাধা আছে কিনা? সেই রাতের ঘটনায় তো মনে হচ্ছে, গোলাম রাব্বানীর সংগঠন নারীদের জন্য ইসলামের অপরিহার্য পর্দা বিধানের বিপক্ষে। অন্যথায় গোলাম রাব্বানীর এমন গর্হিত বক্তব্যের জন্য তো তাকে সাংগঠনিকভাবে শোকজ করার কথা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একজন হিজাবধারী ছাত্রীকে পদে পদে যে পরিমাণ নাজেহাল হতে হয়, ইউরোপ-আমেরিকার মতো পশ্চিমা অমুসলিম দেশেও প্রকাশ্যে এতটা নাজেহাল হতে হয়, শুনি না। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে হিজাব পরা নারীদের এতটা অসম্মান ও এতটা বাধাগ্রস্ত করা বাস্তবিকই অনেক বেদনাদায়ক ও হতাশার। ইসলামী নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী এবং সর্বোপরি প্রশাসনের প্রতি দেশের সকল স্তরে মুসলিম নারীদের হিজাবের স্বধীনতা নিশ্চিতের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নেওয়ার জন্য জমিয়ত মহাসচিব আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top