চৌগাছা ছাত্রলীগ সভাপতির পা ভেঙ্গে দিলো সন্ত্রাসীরা

যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিমের দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মাঠে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এসসময় ইব্রাহীম ও তার সঙ্গী মিথুন মোটরসাইকেলে করে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন।

হাসপাতালে সভাপতি ইব্রাহীম,সাধারন সম্পাদক রাজু এবং ইব্রাহীমের ভাগ্নে সজল জানান, ইব্রাহীম ও তার সঙ্গী মিথুন ওই সময় চৌগাছা বাজার থেকে নিজ বাড়ি বেড়গোবিন্দপুর গ্রাম ফিরছিলেন। গ্রামে আসার পথে চানপুরের (পাকা রাস্তা শেষে ইটের সলিং শুরু যেখানে) রাস্তা পার হয়ে নিজ গ্রামে পৌঁছানোর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাঁশ দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। তারা তাদেরকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। সেখানে মনমথপুর গ্রামের আওরঙ্গজেব চুন্নুর ছেলে দেড় ডজনেরও বেশি মামলার আসামি গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শামীম রেজা ওরফে গালকাটা শামীম ইব্রাহীমের হাত পা ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেয়। এসময় বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের বুলবুলি হোসেনের ছেলে পারভেজ, শামীমের চাচাত ভাই ইমরান,মৃত মকবুল মল্লিকের ছেলে মহব্বত, শহিদুলের ছেলে রকি ও আবেদুর, তোতার ছেলে আলম ও মনিরুল, সিরাজুল মল্লিকের ছেলে বিপুল মল্লিক, রওনক মল্লিকের ছেলে মনিরুলসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী হাতুড়ি,লোহার রডসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে ইব্রাহীম ও মিথুনের উপর হামলা চালায়। হামলায় ইব্রাহীম ও মিথুন মাটিতে পড়ে যায়। এসময় গালকাটা শামীম, পারভেজ,ইমরান মহব্বত হাতুড়ি ও রড় দিয়ে ইব্রাহীমের বাম পা গুড়ো করে দেয়। বাকি সন্ত্রাসীরা মিঠুনের ওপর আক্রমন করে। আঘাতে মিঠুনের মাথা ফেটে যায়।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার হাদিউর রহমান বলেন, ইব্রাহীমের দুই পায়ের গোড়ালিতে সর্বোচ্চ আঘাত করা হয়েছে। বিশেষ করে বাম পায়ের অবস্থা বেশি খারাপ। তবে তার দুপায়ে হাতুড়ি বা লোহার কিছু দিয়ে এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যে, তার পায়ের চর্বি বেড়িয়ে এসেছে। তার পায়ে রক্তপাত হচ্ছে। অন্যদিকে মিঠুনের মাথা ফেটে তিন ইঞ্চি গভীর হয়ে গেছে। ৬-১২ ঘণ্টা পার না হলে তার বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তাদেও দুজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলেও জানান ডা.হাদিউর রহমান।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ও তার সঙ্গী মিথুনের ওপর আক্রমনকারী যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। অতিদ্রুতই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

Share this post

scroll to top