চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে ৩ যুবলীগ নেতা আটক

Arrest-আটক

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে বেধড়ক মারপিটের ঘটনায় তিন যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে। আটককৃতরা হলেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, যুবলীগ কর্মী, নগরকান্দার সাবেক পৌর মেয়র রায়হান মাস্টারের ছেলে আলামিন মাতুব্বর ও রুবেল মিয়া। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় মামলা হয়েছে। মারপিটের সময় হাসপাতালের একজন নার্স ও অফিস সহকারীকেও মারপিট করা হয়।

জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়ার জন্য শিশু সন্তানদের নিয়ে মায়েরা ভিড় করে। ফলে লাইন দিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় সাবেক পৌর মেয়রের স্ত্রী তার নাতিকে নিয়ে লাইন ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে অন্যরা তার প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু তাদের কোন কথা না শুনে সাবেক মেয়রের স্ত্রী লাইন ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় কতব্যরত চিকিৎসক এগিয়ে গিয়ে তাকে লাইনে দাঁড়ানোর কথা বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জ্যোতিময় প্রতিবাদ করলে তাকে দেখে নেবার হুমকি দেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী।

পরে স্থানীয় যুবলীগের ২০-৩০ জন নেতা-কর্মী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসক জ্যোতিময়ের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা জ্যোতিময়কে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা চিকিৎসক জ্যোতিময়কে মারপিটের পাশাপাশি হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা নার্স রেখা খানম ও অফিস সহকারী ইখলাস হোসেনকেও মারপিট করে। মারপিটের সময় হাসপাতালজুড়ে রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় থানা পুলিশ।
পরে মারপিটের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যোতিময় বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় চিকিৎসকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, মারপিটের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে হাম-রুবেলার ক্যাম্পিং চলছে। নগরকান্দা হাসপাতালও একটি ক্যাম্প। এক নারী হাসপাতালে এসে তাড়াহুড়া শুরু করে। নার্স তাকে লাইনে দাঁড়াতে বললে সেই নারীর লোকজন হাসপাতালে এসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

Share this post

scroll to top