গ্রাহকপর্যায়ে ঋণপ্রাপ্তির সীমা ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ৩০ ভাগ

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ সঠিকভাবে বিতরণের লক্ষ্যে ব্যাংকের গ্রাহকপর্যায়ে ঋণপ্রাপ্তির সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা অথবা গ্রাহক অনুকূলে মঞ্জুরি করা ঋণ বা বিনিয়োগ সীমা হবে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনকারী গ্রাহক বা ঋণগ্রহীতার ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের হিসাব ভিত্তিতে এই হারে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করা যাবে।

নতুন ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতার ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও একই প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঋণসীমা প্রাপ্তির এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি কার্যকর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে আরও নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, গ্রাহকপর্যায়ে প্রতিটি ঋণের মেয়াদ হবে সাধারণভাবে এক বছর। তবে কোনো গ্রাহকের অনুকূলে তা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব না হলে মঞ্জুরি করা ঋণের প্রাপ্যতার অর্থ অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গ্রাহককে কোনো ব্যাংক যেভাবেই (এককালীন বা প্যাকেজের মেয়াদে একাধিক বছরে প্রদত্ত হয়ে থাকলে) ঋণ বা বিনিয়োগ করা হোক না কেন, প্রতিটি গ্রাহকের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ঋণসীমার মধ্যে প্রদত্ত সুদ বা মুনাফা অথবা ভর্তুকি প্রাপ্য হবেন।

Share this post

scroll to top