গ্রামীণফোনের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

গ্রামীণফোনের ওপর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা বিধিনিষেধ স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (০৬ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব।

এর আগে গত ২৭ জুন গ্রামীণফোনের ওপর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা বিধিনিষেধ স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে গ্রামীণফোন আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের নতুন সেবা, অফার বা প্যাকেজ দিতে পারবে না। এখনকার অফার অথবা প্যাকেজও আবার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

এছাড়া নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে ‘লকিং পিরিয়ড’ হবে ৬০ দিন। অন্যদের ক্ষেত্রে যা ৯০ দিন। এর মানে হলো, গ্রামীণফোনের নম্বর সহজে ছাড়া যাবে।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধানমালার (২০১৮) অধীনে। এর আওতায় সংস্থাটি গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী (এসএমপি) অপারেটর হিসাবে ঘোষণা করে।

কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ-এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসাবে ঘোষণা করা যায়। গ্রামীণফোন গ্রাহক সংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী।

Share this post

scroll to top