গৌরীপুর পৌর মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি : থানায় এমপি পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Mayor-Rofiqময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় থানায় স্থানীয় এমপি পুত্র ও ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সদস্য তানজির আহম্মেদ রাজীবকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিক। থানায় অভিযোগ দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানার ওসি খান আ: হালিম সিদ্দিকী বলেন, “মেয়র অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু আমি এখনও অভিযোগ দেখিনি। তদন্ত হবে এর পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

অভিযোগ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের সাথে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র তানজির আহম্মেদ রাজীবের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। এদিকে মেয়র ৭ মার্চের প্রোগ্রাম শেষে পৌরসভায় প্রবেশের সময় মেয়র সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় তানজির আহম্মেদ রাজীব এর লোকজন। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এখবর পেয়ে মেয়র গ্রুপের লোকজন জড়ো হয় ও পাল্টা আক্রমন করে। এ সময় দু’পক্ষের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রন করলে যুবলীগ নেতা রাজীব তার সমর্থকদের নিয়ে শহরে ফিরে আসে। বর্তমানে এ ঘটনায় পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও দু’পক্ষের ভেতরে ভেতরে রণ প্রস্তুতি চলছে বলেও দাবি স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্রের।

ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সদস্য এমপি পুত্র তানজির আহম্মেদ রাজীব সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৭ মার্চের অনুষ্ঠান ও শাহগঞ্জের একটি খেলার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য দুপুরে গৌরীপুর রেললাইন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছলে মেয়র রফিকের উপস্থিতিতে তাঁর সমর্থকরা আমার হোন্ডা বহরে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এ সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে আমার কর্মীরা প্রতিহতের চেষ্টা করলে পাথরের আঘাতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে ওসি ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের উপস্থিতিতেই মেয়র সমর্থকরা দ্বিতীয়বার হামলার চেষ্টা চালায়। রাজিব দাবি করেন, বিগত নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। রফিক আমাকের টাকার প্রস্তাব দিয়েও তাঁর পক্ষে নিতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমার উপর হামলা চালিয়েছেন। এর আগেও তিনি আমার পিতা স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহম্মেদকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন।

তবে পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, ৭ মার্চের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে পৌরসভার সামনে এমপি পুত্র রাজীব স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে আমার উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে গুলি করে। তবে গুলিটি লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় আমার কোন ক্ষতি হয়নি। তিনি দাবি করেন, এ সময় রাজীবের সন্ত্রাসীদের হামলায় দেলোয়ার ও আল-আমীন নামের আমার দুই সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি ও আমার লোকজন স্বচক্ষে দেখেছি গুলি করতে, তাই থানায় রাজীবের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছি।

Share this post

scroll to top