গাইড বই বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। বিগত ১০ বছরে সারাদেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি, ঝরেপড়া রোধ, শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন, অবকাঠামোর উন্নয়ন ও শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। তিনি বুধবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র, কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শন এবং ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাবান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য দেশের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে তাদের হাতে বিভিন্ন কোম্পানীর গাইড বই তুলে দিচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞানার্জন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এটা আর মেনে নেয়া হবে না। যে সব শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির নেতা বিভিন্ন কোম্পানীর গাইড বই বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রশ্ন ফাঁস রোধের জন্য সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা ভুঁইফোড় কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং যেসব শিক্ষক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই।

এর আগে সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে পৌঁছালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং টাঙ্গাইল জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষামন্ত্রী ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ একাব্বর হোসেন এমপি, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শিক্ষা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র মোঃ সাহাদত হোসেন সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল মালেক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ, মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক মিজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top