গফরগাঁওয়ে তাহমিনা হত্যায় জরিত মাদ্রাসাছাত্র গ্রেফতার

গফরগাঁও ধর্ষণময়মনসিংহ গফরগাঁওয়ে তাহমীনা(১৭) কে ধর্ষণের পর হত্যার  রহস্য উন্মোচন ও ঘটনায়  জড়িত এক মাদ্রাসা  ছাত্র কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত মাহফুজ(১৮) উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। মাহফুজ উপজেলার পাড়াভরট গ্রামের জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  আহসান হাবীব বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের আদালতে  গ্রেফতারকৃত মাহফুজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আসামি মাহফুজের জবানবন্দি, নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাড়াভরট জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র মোঃ আশিকুল হকের সাথে একই গ্রামের  আব্দুল মতিনের কিশোরী কন্যা তাকমীনার প্রেমের  সম্পর্ক ছিল। আশিকুল হক নান্দাইল উপজেলার তারাপাশা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। তাকমীনা আশিকুল কে বিয়ে  করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন রাত তিনটার দিকে আশিকুল তাকমীনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসে। তাকমীনা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর আশিকুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।পরে আশিকুল তার দুই বন্ধু মাহফুজ ও আরিফের  সহযোগিতায় তাকমীনার গলায় পাগড়ী  পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পাড়াভরট জামে মসজিদের উত্তর পাশে জাম গাছে তাকমীনার অর্ধনগ্ন লাশ ঝুলিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর ফজরের নামাজের সময় হলে  মসজিদের মুয়াজ্জিন আশিকুল আযান দেয় ও পরবর্তীতে ইমামতি করে। মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বের হয়ে  জাম গাছে লাশ জুলতে দেখে তাকমীনার বাড়িতে খবর দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাহমিনা পিতা বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য তাহমীনার লাশের পাশে মোবাইল পড়েছিল।মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মাহফুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মফিজ উদ্দিনের নামে রেজিস্ট্রেশন কৃত সিমটি ব্যবহার করত তারই ছেলে মাহফুজ।

গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গফরগাঁও সার্কেলের সরকারি পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারের করতে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।

Share this post

scroll to top