বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেছেন, গণস্বাস্থ্যের মতো প্রতিষ্ঠান করোনা টেস্টের কিট যদি তৈরি করতে পারে, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কী কাজ করছে? তারা একটি করোনা টেস্টের কিট তৈরি করতে পারেনি।
সোমবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান করোনার কিট উদ্ভাবন করেছে। সরকার এখন পর্যন্ত সেটি অনুমোদন দিচ্ছে না। এটির কী কারণ, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটি অনুমোদন দিতে কেন এত সময় লাগছে? এটির প্রয়োজন আছে কিংবা নেই? আজকে যদি আমরা এই স্বল্পমূল্যের কিট উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারতাম, তাহলে দেশবাসীসহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো। সেটি আমরা পারিনি। গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের কিছু তৈরি করতে পারে, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ করছে? তারা একটি করোনা টেস্টের কিট তৈরি করতে পারেনি। আজকে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আক্রান্ত হলে সরকারি কোনো হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তারা সিএমএইচে বা প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে একেবারেই ভঙ্গুর, একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে, এটাই আজ প্রমাণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভারতমুখী হয়ে গেছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে চার কোটির অধিক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন। আজকে এটি বাস্তব সত্য। এ সত্য কথাগুলো বলার জন্য সংসদে এসেছি।
হারুন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন সংসদ সদস্য আমি। সেখানে সদর হাসপাতালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী সেই হাসপাতাল ২০১১ সালে ১০০ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। সেখানে অক্সিজেনের সিস্টেমও নেই। এই হলো হাসপাতালের চিত্র। এরকম চিত্র দেশের অনেক হাসপাতালের।