খুলনা নগরীতে স্বরূপে আষাঢ়

খুলনা নগরীতে দু’ দিন ধরে ঝরছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। এর মধ্যদিয়ে প্রকৃতিতে বর্ষাকালের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। অবিরাম ঝরতে থাকা বৃষ্টির পানিতে সয়লাব গোটা খুলনা মহানগরী।

সূত্র মতে, আষাঢ়ের তৃতীয় দিনে- বুধবার ভোর রাত থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে খুলনায়। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। সূর্যের দেখাও মেলেনি খুব একটা। আষাঢ়ের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। রাতভর মুষলধারে টানা বৃষ্টিপাত সকালেও গড়িয়েছে। চলছে অবিরাম।

এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতে অনেকটাই থমকে গেছে নগরজীবন। হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের নিম্নাঞ্চল, প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট। বাড়ির বাইরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ছাতা নিয়ে কেউ কেউ বের হচ্ছেন জরুরি কাজে। তবে, ভ্যাপসা গরমে এই বৃষ্টি স্বস্তি দিয়েছে নগরবাসীকে।

নগরীর পিটিআই মোড়, শামসুর রহমান রোড, রয়্যালের মোড়, শান্তিধামের মোড়, বাইতিপাড়া ও মডার্ন ফার্নিচার মোড়সহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার আগ দিয়ে ড্রেন ও রাস্তা খোড়াখুড়ি কারণে কাদা পানিতে সয়লাব, সেই পথে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন নগরবাসী।

বৃষ্টিতে নগরজীবনে কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও আমনচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। আমন ধানের চাষ পুরোটাই নির্ভর করে বৃষ্টির ওপর। আষাঢ় থেকে বীজতলা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেন চাষিরা।

খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে বলেন, আষাঢ়ের প্রথম তিনদিনে নগরীতে মোট ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে পহেলা আষাঢ় ১৬, দ্বিতীয় দিন ১৫ এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

তিনি বলেন, মূলত: মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকার প্রভাবে খুলনায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। যা আরও দুই তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে, আষাঢ়ে প্রতিদিনই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।

Share this post

scroll to top