ক্যাপিটলের ঘটনায় মার্কিন সেনাবাহিনীর নিন্দা

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্য এবং তার ঠিক পরেই ক্যাপিটল ভবনে তার সমর্থকদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর প্রতিটি শাখার অফিসাররা রীতিমতো চিঠি লিখে ওই দিনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। খবর ডয়েচে ভেলের।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ওই ঘটনা শুধু অন্যায় নয়, আইনবিরুদ্ধ। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

শুধু তাই নয়, চিঠিতে তারা লিখেছেন- ট্রাম্প যাই দাবি করুন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। তারা তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক খারাপ ছিল না। বরং আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার, ইউরোপ থেকে সৈন্য ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। এবার সেই সেনারাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কেবল মুখই খুললেন না, রীতিমতো চিঠি লিখে তাকে বিড়ম্বনায় ফেললেন।

গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালায় ক্যাপিটল ভবনে। সেখানে সেই সময় জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

সিনেটে যৌথ কংগ্রেস অধিবেশন চলছিল। ঠিক তখনই ক্যাপিটলের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের কারও কারও সঙ্গে অস্ত্রও ছিল।

ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তারা। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন এমপির অফিসও তছনছ করেন তারা। বাধ্য হয়ে দাঙ্গা পুলিশ ডাকে।

গোলাগুলিতে পুলিশসহ নিহত হন ৫ জন। সব মিলিয়ে আমেরিকার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয় ৬ জানুয়ারি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। রিপাবলিকানরাও ঘটনার নিন্দা করেন। সাবেক প্রেসিডেন্টরা দলমত নির্বিশেষে ঘটনার নিন্দা করেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো সেনাবাহিনী।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখার চিফ অব স্টাফরা ওই চিঠিতে সই করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে– প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু প্রতিবাদের নামে সহিংসতার অধিকার নেই। এ কথা প্রত্যেক নাগরিককে মনে রাখতে হবে। যারা ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

Share this post

scroll to top