Connect with us

দেশ বাংলা

কোভিড যোদ্ধা চিকিৎসকদের স্মরণে দোয়া ও বৃক্ষরোপণ

Published

on

Tree plantation for corona fighter (2)

Tree plantation for corona fighter (2)করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) চিকিৎসার দেওয়ার সময় যেসব ডাক্তার একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বৃক্ষরোপণ করেছে হেল্প বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এইচবিএফ) ও নির্ভয় ফাউন্ডেশন। বগুড়ার গাবতলি থানায় তারা এ বৃক্ষরোপণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এইচবিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আবুল বাশার মিরাজ, সিইও আব্দুল্লাহ্ আল ফাত্তাহ্, অ্যাকাউন্টস্ ম্যানেজার সাকিবুল ইসলাম, ভলেন্টিয়ার ফাহাদ,  জাকারিয়াসহ এলাকার একদল তরুণ।

বৃক্ষরোপণের বিষয়ে জানতে চাইলে এইচবিএফের প্রতিষ্ঠাতা আবুল বাশার মিরাজ বলেন, এ সময়ের সাহসী যোদ্ধা হচ্ছেন চিকিৎসকরা। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বুকে সাহস নিয়ে কম জনবল আর অস্ত্র নিয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করেছিলেন ঠিক তেমনি আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কম সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আত্নহুতি দিয়েছেন। তাদের ভূমিকার কারণেই আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে মৃত্যু অনেক কম।  চিকিৎসক সেসব পরিবার যেন এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য দোয়া করেছি ও তাদের করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকদের স্মৃতি রক্ষায় বৃক্ষরোপণ করেছি।

আজকের ময়মনসিংহ

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

Published

on

Winter

জানুয়ারির মাঝামাঝি এ সময়ে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের চার জেলায় বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল থেকে রাজধানীতে ঘন কুয়াশা। বেলা ১১টার দিকেও কুয়াশা কাটেনি। দেশের অন্যত্রও একই অবস্থা। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে কমেছে আরও। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীত বাড়বে। তবে শীতের তীব্রতা আগামীকাল শনিবার থেকেই কমতে শুরু করবে। আবার আগামী মঙ্গলবার থেকে কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

দেশের চার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেগুলো হলো কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রংপুরে কয়েক দিন থেকে খুব শীত পড়েছে। শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরও কাহিল অবস্থা। তাই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে মানুষের গরম কাপড় ছাগলের শরীরে জড়িয়ে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। ছবিটি রংপুর শহরতলির ময়নাকুঠি এলাকা থেকে তোলা। ১২ জানুয়ারি
রংপুরে কয়েক দিন থেকে খুব শীত পড়েছে। শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরও কাহিল অবস্থা। তাই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে মানুষের গরম কাপড় ছাগলের শরীরে জড়িয়ে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। ছবিটি রংপুর শহরতলির ময়নাকুঠি এলাকা থেকে তোলা। ১২ জানুয়ারিছবি: মঈনুল ইসলাম

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকালে বলেন, শীতের তীব্রতা আগামীকাল থেকে কমে আসবে। তবে ঘন কুয়াশা খুব তাড়াতাড়ি কমবে না। আগামী তিন দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে।

আগামীকাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শীত কমতে শুরু করে আবার মঙ্গলবার থেকে মেঘ দেখা দিতে পারে। তাতে কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি আবার বাড়তে পারে বলে জানান ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাতে শীত আবার বাড়বে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নিকলীতেই, ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো আজ ঢাকাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে গতকালের তুলনায়। আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Continue Reading

দেশ বাংলা

ধর্ষণে খালার সহায়তা ও দেহ ব্যবসা চেষ্টার অভিযোগ কিশোরীর

Published

on

Rape

লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে খালার সহায়তায় কিশোরীরকে (১৭) জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং দেহ ব্যবসা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে ভয়ে ৬দিন পলাতক থাকার পর রোববার সন্ধায় (৩ সেপ্টেম্বর) ওই কিশোরী আপন খালা ও বাবার বিরুদ্ধে সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকায় খালার বাসায় থাকার অনুরোধ জানায় মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২৭ আগষ্ট) রাতে দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের মিয়ারহাট এলাকায়।

এ ঘটনায় রোববার রাতে কিশোরীর মা-বাবা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিশোরীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানার নারী ও শিশু কক্ষে (শেফ হোম) রেখেছেন সহকারি পুলিশ সুপার ও ওসি।

ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী জানায়, রায়পুরের মেঘনার দূর্গম চরে বায়রাঘাটে তাদের জেলে পরিবারের বসবাস। চরে সে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তারা এক ভাই ও এক বোন। গত ২৭ আগষ্ট দক্ষিন চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে কিশোরী দেখে তার পাশে অচেনা এক যুবক (৩৫)। সে চিৎকার করলে মূখ চেপে দুইবার ধর্ষণ করে ওই যুবক। এঘটনা সে তার খালাকে জানালে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলে।

পরদিন কিশোরী বাড়ীতে এসে তার মা- বাবাকে এ ঘটনা জানালে কাউকে না বলার জন্য চাপসৃষ্টি ও বেদম মারধর করে নাক ফাটিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনা বিচার না পেয়ে পরদিন ২৮ আগষ্ট বাড়ী থেকে পালিয়ে মোল্লারহাট এলাকায় তৃতীয়লীঙ্গের এক নারীর কাছে ৫দিন থাকার পর রোববার দুপুরে (৩ সেপ্টেম্বর) রায়পুরের সহকারি পুলিশ সুপারের কাছে বাবা ও খালার বিরুদ্ধে অচেনা যুবক দ্বারা ধর্ষণে সহায়তা এবং দেহ ব্যবসা করার চেষ্টার অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী। সে শারীরীভাবে খুবই অসুস্থ্য বলেও জানান।

রোববার সন্ধায় সহকারি পুলিশ সুপার ওই কিশোরীর মা-বাবা ও খালাকে থানায় হাজির করেন। মেয়েটির বাবা বলেন, গত ৮ দিন আগে তার মেয়ে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হলে রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারন ডায়রী করেন। পুলিশ মেয়েটির সন্ধান করে তৃতীয় লীঙ্গের এক নারীর সাথে রয়েছে বলে নিশ্চিত হন এবং তাকে ফাঁড়িতে আসার জন্য বলা হলেও মেয়েটি না গিয়ে তার বাবা ও খালার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ করেছেন ।

রোববার রাতে মা-বাবা-খালাকে সাংবাদিক ও স্বজনদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরীকে থানার শেফহোমে রাখা হয়। ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিতের জন্য কিশোরীকে সদর হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ এবং এ ঘটনায় ধর্ষক ও অভিযুক্ত খালাকে (৩০) আটক করা হবে বলেও পুলিশ জানান।

সহকারি পুলিশ সুপার ( রায়পুর ও রামগঞ্জ থানার সার্কেল) শেখ সাদী বলেন, মেয়েটি তার গ্রামের মাদরাসা পড়ুয়া এক ছেলের সাথে সম্পর্ক এবং ছেলেকেই বিয়ে করতে চায়। এতে তার পরিবার রাজি হয়নি। অপরদিকে-নদীর পাড়ে খালার বাড়ীতে বেড়াতে গেলে খালারই সহায়তায় অচেনা যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। দুটি ঘটনায় আমরা মেয়েটির মা, বাবা ও খালাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেই। মেয়েটিকে আরো জিজাসাবাদের প্রয়োজন ও মেডিকেল করানো হতেও পারে, সে জন্যে রাখা হয়েছে।

Continue Reading

দেশ বাংলা

ঋণের চাপে লক্ষীপুরে আওয়ামীলীগ নেতার ফাঁস

Published

on

ঋণের চাপে লক্ষীপুরে আওয়ামীলীগ নেতার ফাঁস

লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে সানা উল্লাহ (৫৮) নামের এক আওয়ামীলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

(২৮ আগষ্ট) সোমবার সকালে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের কাজী বাড়ী থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা। মৃত সানা উল্লাহ একই এলাকার মৃত শাহাদাত উল্লাহ ছেলে ও সাগর্দী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় চা দোকানী। তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ের বিয়ে, ছেলেকে বিদেশ পাঠানো এবং পরিবারের ব্যয় বাড়তে থাকায় গত এক বছর ধরে রায়পুরের মীরগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বেসরকারি এনজিও সংস্থা প্রজন্ম, রিক ও এসো গড়ি উন্নয়নসহ ১৪টি এনজিও থেকে ঋণ নেন চা সানা উল্লাহ। কয়েকদিন ধরে রিক, প্রজন্ম ও এসো গড়ি উন্নয়নের ম্যানেজার তাদের সংস্থার ঋণ পরিশোধ করার জন্য নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন সানাউল্লাহসহ তার পরিবারকে। এ ঋণ পরিশোধ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন।

ঘটনার দিস সোমবার সকালে সানাউল্লাহ তার চা দোকানে যান। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকাল নয়টার দিকে এক ব্যক্তি চা খেতে এসে তাঁর দোকানের শার্টার বন্ধ দেখেন। তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে বসতঘরের পাশে পুকুর পাড়ে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সানা উল্যাহ মরদেহ ঝুলতে দেখেন। এলাকাবাসী সকাল ১১ টার দিকে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় এনজিও রিকের ম্যানেজার তরিকুল, এসো গড়ি উন্নয়নের ম্যানেজার সালাউদ্দিন ও প্রজন্মের ম্যানেজার সফিক উদ্দিন বলেন, আমাদের সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছেন চা দোকানী সানা উল্লাহ। কিস্তির টাকা পরিশোধে তাকে ফোন দিয়েছি। কোন চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।

ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল আলম সুমন বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা সানা উল্যাহ চা বিক্রি করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। স¤প্রতি এক ছেলে বিদেশ পাঠানো ও এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলের লেখাপড়া এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে তিনি কয়েকটি এনজিও এবং কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকেও সাপ্তাহিক পরিশোধের শর্তে টাকা ধারও নেন। ঋণের চাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় সানা উল্যাহ আত্মহত্যা করেন বলে আমরা ধারণা করছি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, বসতঘরের পাশে পুকুর পাড়ে আম গাছে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় সানা উল্যাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।

Continue Reading

Trending