কেনাকাটা করতে লাইনে দাঁড়ালেন সদ্য সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অল্প কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অথচ তার জন্য নেই কোনো ভিআইপি সুযোগ সুবিধা। এমনকি সাধারণ একটি সুপার স্টোরে কেনাকাটা করতে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। লকডাউনের কারণে কোনো স্টোরে প্রবেশ করতে সাধারণ সময়ের চেয়ে ১৫/২০ মিনিট বেশি সময় লাগে। আর ওই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন কিছু কেনাকাটা করতে। তিনি ব্রিটেনের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলে তাকে সবার আগে পণ্য কেনার সুযোগ দিতে হবে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই ব্রিটেনে। সদ্য সাবেক হওয়া ওই প্রধানমন্ত্রীও ওই চেষ্টা করেননি। তিনি শুধু লাইনেই দাঁড়াননি। একই সঙ্গে রক্ষা করছেন সামাজিক দূরত্ব। ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে তিনি যখন লাইনে দাঁড়ানো, তখন তার হাতে মোবাইল। তাতে তিনি কিছু একটা চেক করছিলেন। সচিত্র এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থেরেসা মে এখন আর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা নন। অর্থাৎ তিনি এখন আর প্রধানমন্ত্রী নন। ব্রিটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট চুক্তিতে পৌছাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। পরে ক্ষমতায় আসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বাড়ির কাছে বার্কশায়ারের ওয়েট্রোস স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তার পরনে ছিল স্মার্ট কালো ব্লেজার, লালচে একটি স্কার্ফ এবং গাঢ় সানগ্লাস। কখনো মোবাইল চেক করছেন। ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে গুড ফ্রাইডে রাশ শপিংয়ের সময় তিনি হয়তো এ সময় বাকি বিশ্বকে দেখে নিচ্ছিলেন মোবাইলে।

৬৩ বছর বয়সী ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এই এমপি ওই স্টোরে প্রবেশ করে ৪৫ মিনিট অতিবাহিত করেন। সেখানে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন পণ্য ঘুরে দেখেন। কিনে নেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এরপর একটিমাত্র ব্যাগ হাতে নিয়ে স্টোর ত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন, তিনি খাবার মজুদ করে রাখার মতো পণ্য কিনেননি। স্টোরের সব নিয়ম মেনে কেনাকাটা করেছেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন না স্বামী ফিলিপ।

ব্রিটেনে সব সুপারমার্কেটে সব কাস্টমারের জন্য সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিধান চালু করেছে। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো ক্রেতাদের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। ওই লাইন কখনো চলে যাচ্ছে গাড়ির পার্কিং এলাকায়। ব্রিটিশদের এখন শুধু বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, যখন প্রয়োজনীয় জিনিসের দরকার হবে তখনই যেন তারা বাইরে যান। অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ থাকলেও অনেক পরিবারকে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার বিভিন্ন স্টোরে বা দোকানে যেতে হচ্ছে।

Share this post

scroll to top