কুষ্টিয়ায় যুবক হত্যা: দেবর-ভাবীর যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক যুবককে হত্যার দায়ে দেবর সজিব হোসেন ও ভাবী সীমা খাতুনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এই দণ্ড দেন। এই আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি জানান।

এ সময়ে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান কলেজ ছাত্র আসলান জেলিন হত্যা মামলায় তুষার আহম্মেদ (১৬) কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সজিব হোসেন (৩২) দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং সীমা খাতুন (২৫) প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী।

কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তুষার আহম্মেদ (১৬) সদর উপজেলার এনএস রোডস্থ করিম মঞ্জিলের বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি (৩০) নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এর এক সপ্তাহ পর পদ্মা নদীর চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় দেবর ও ভাবীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রনিকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় দেবর-ভাবীকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল হালিম জানান, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের হেমচন্দ্র লেনের বাসিন্দা মাহবুব ইসলামের ছেলে আসলান জেলিন (১৮) কে ডেকে নিয়ে যায় তুষার আহম্মেদ। পরে জেলিনকে শহরের বাবুর আলী গেটের কাছে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে জখম করে তুষার। জেলিনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় মডেল থানায় করা হত্যা মামলায় তুষারের যাবজ্জীবন হওয়ার কথা। কিন্তু আসামি কিশোর বয়সী (১৬) হওয়ায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Share this post

scroll to top