কাশ্মীরের স্বর্গীয় সৌন্দর্য কাশ্মীরের স্বর্গীয় সৌন্দর্য কমছে

প্রাকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য কাশ্মীরকে রুপ দিয়েছে ভূস্বর্গের। কিন্তু নির্বিচারে বন ধংস, অবৈধ স্থাপনা আর দশক ধরে চলা সহিংসতার প্রভাব পড়ছে কাশ্মীরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে। এ সৌন্দর্য ধরে রাখতে লড়েও যাচ্ছেন কেউ কেউ।

সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে অনেক পর্যটক নষ্ট করেন প্রকৃতির শোভা। পর্যটনস্থানগুলোতে দেখা যায় পর্যটকদের ফেলে যাওয়া ময়লার ছড়াছড়ি। খবর ডয়চে ভেলের

পর্যটক টানতে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে তোলা হয়েছে তাবু। তবে বনের এতে কাছে মানুষের উপস্থিতি হুমকিতে ফেলছে এলাকার জীববৈচিত্র্যকে। পর্যটকদের জন্য তৈরি হওয়া হোটেল-মোটেল দখল করে নিচ্ছে বন-জঙ্গল, অর্থাৎ বন্য প্রাণীদের আবাস।

প্রকৃতির এ ক্ষয় ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে তরুণরা। কাশ্মীরের হিমালয় সংলগ্ন পাহালগাম এলাকার তরুণরা উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবেশের ক্ষতি এড়িয়ে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার।

পাহালগাম এলাকার বাসিন্দা ট্রেকিং গাইড সারতাজ আহমাদ মাগরে স্থানীয় তরুণদের নিয়ে নেমে পড়লেন কাজে। পর্যটকদের ফেলে যাওয়া আবর্জনা সংগ্রহ করতে কখনো কখনো তিন হাজার মিটার উঁচুতেও উঠতে হয় তাদের।

পাহাড়ি এলাকায় নির্মিত স্থাপনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন মোস্তাক পাহালগামি নামের এক পরিবেশকর্মী। তার আন্দোলেনের ফলে কর্তৃপক্ষ স্থাপনাগুলোকে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে অবৈধ বসতি স্থাপন কমে এসেছে বলে দাবি মোস্তাকের।

Share this post

scroll to top