করোনা শনাক্ত হওয়ায় ময়মনসিংহে সেই নারী ডাক্তারের সাথে কাউন্সিলরের দুর্ব্যবহার

Mymensingh-Doctorময়মনসিংহে নারী ডাক্তারের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হলে তার স্বামীসহ তার সাথে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকার উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ডাক্তারসমাজ করোনার চিকিৎসায় নিজেদের যুক্ত করে নিজেরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা সামাজিকভাবে হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ওই নারী ডাক্তার স্থানীয় লোকজনের দ্ধারা মানহানিকর অপমানিত হওয়ায় অবশেষে ফেসবুকে পোস্ট দিতেও বাধ্য হন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘এলাকার মানুষের কাছে যে ব্যবহার পেয়েছি, আমি ও আমার স্বামী কোনো দিন ভুলব না। শুধু তাই নয়, এলাকার কতিপয় গুজবকারী ডাক্তার দম্পত্তির দেহে করোনা পজেটিভ এসেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটায়। অথচ শুধুমাত্র নারী ডাক্তারই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, ওই নারী ডাক্তারের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ময়মনসিংহের চড়পাড়ার নয়াপাড়ায় চলে আসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ওই ডাক্তার দম্পত্তিকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুল হকসহ তার দলবল মারাত্বকভাবে অপমান করেন ও ডাক্তার দম্পত্তিকে বাসা থেকে বের করতে বাধ্য করেন।

এব্যাপারে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুল হক বলেন, আমি তার স্বামীকে বলেছি ‘আপনারা শিক্ষিত লোক। আপনাদের কোনো ভুলের জন্য যেন পুরো এলাকা ধ্বংস না হয়ে যায়। আপনারা দ্রুত আইসোলেশন ইউনিটে চলে যান।’

তবে এনিয়ে সারা দেশেই আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, ডাক্তররা তাদের জীবন বাজি রেখে এই সময়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। আর এতে করে তারা নিজেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন মহৎ পেশার মানুষদের অপমান করা কতোটুকু ঠিক তা কর্তৃপক্ষই একমাত্র ব্যবস্থার আলোকে ডাক্তার সমাজকে সামনের দিনে পথ চলাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

Share this post

scroll to top