করোনা প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতির স্যানিটাইজার বিশেষ কার্যকরী

চীনসহ গোটা বিশ্বে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রায় প্রতিদিন এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই ভাইরাস আতঙ্কে ইতোমধ্যে উহান প্রদেশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে চীনও। এই ভাইরাস প্রতিরোধে একাধিক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন হাত মুখ পরিষ্কার রাখতে। প্রয়োজন পড়লে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি জানাচ্ছেন রাস্তাতে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে।

বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস। তিন জনের এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। এই সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের দাম বেড়ে গেছে। তবে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে এক প্রকার কালোবাজারি শুরু না হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

এই ভাইরাস প্রতিরোধে একাধিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সাবান এবং পানি দিয়ে বারবার হাত মুখ ধুতে। এছাড়াও রাস্তাঘাটে একান্ত বাধ্য হয়ে বেরোতে হলে যেন অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখেন যাতে হাত পরিষ্কার নেওয়া যায়। তবে এই ধরনের স্যানিটাইজারই নয়, ঘরোয়া পদ্ধতিতে সঠিকভাবে বানানো স্যানিটাইজারও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই জাতীয় স্যানিটাইজারে রোগজীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা যথেষ্ট বেশী। আর যেহেতু এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মানুষের সংস্পর্শে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে। তাতে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকা যাবে।

এই বিশেষ ধরণের স্যানিটাইজার বেশীরভাগ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি প্রস্তুত করে থাকে। সাধারণ স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে না। তাই এই স্যানিটাইজারের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজারের থেকে কম হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাধিক সতর্কতা জারি করেছে এই ভাইরাস প্রতিরোধে। পাশপাশি সরকারের তরফ থেকেও একাধিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তবে যে সকল জায়গাতে এই জাতীয় সুবিধা পেতে সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পরতে হয় সেই সব ক্ষেত্রে ঘরে বানানো স্যানিটাইজার এই ভাইরাস প্রতিষেধকের ভূমিকা নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তা সঠিক পদ্ধতিতে বানাতে হবে। না হলে ওই স্যানিটাইজারের কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে।

কেবলমাত্র অ্যালকোহল নয় একাধিক ফার্মা কোম্পানির বানানো স্যানিটাইজারে থাকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা ত্বকের কোনরকম ক্ষতি তো করেই না উপরন্তু যথেষ্ট উপকারী।

তবে যদি স্যানিটাইজার না থাকে সেক্ষেত্রে ঘনঘন হাত মুখ ধোয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত মুখ ধুতে যাতে এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

যেভাবে তৈরি করবে ঘরোয়া স্যানিটাইজার: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তেলের সাহায্যে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় স্যানিটাইজার। এর জন্য প্রয়োজন অ্যালোভেরা, তেল (চা, পিপারমেন্ট, নিম বা লবঙ্গ), উইচ হেজেল ও একটি ছোট বোতল। মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য একটি ২-৩ চামচ অ্যালোভেরা নিন। এবার তাতে উইচ হেজেল ও তেল দিয়ে ভাল করে মেশান। এই তেল ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে সাহায্য করে। হয়ে গেলে সেটি বোতলে ভরে রাখুন। স্যানেটাইজার তৈরি। প্রয়োজন মতো এটি ব্যবহার করুন।

জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে স্যানিটাইজার। তাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কোনো মিশ্রণ সবচেয়ে বেশি উপকারী। এর ফলে স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। ত্বকেরও ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এর জন্য প্রাকৃতিক তেলের সবচেয়ে ভাল কাজ করে। সংবাদ প্রতিদিন ও কলকাতা ২৪*৭।

Share this post

scroll to top