করোনা পরীক্ষার চাপ সামলাতে পারছে না ময়মনসিংহ মেডিকেল

MMCময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে আটকে আছে কোভিড-১৯ ভাইরাস সন্দেহে সংগ্রহ করা সাত শতাধিক নমুনা। প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা থাকায় অতিরিক্ত নমুনা টেস্ট করতে পারছে না ময়মনসিংহের একমাত্র এই ল্যাবটি। ফলে দিনের পর দিন সংগ্রহ করা নমুনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষার চাপ সামলাতে না পারায় তৃতীয় শিফটেও ল্যাব চালু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ জানান, ময়মনসিংহ বিভাগসহ আশপাশের জেলা থেকেও প্রতিদিন প্রচুর নমুনা আসছে। জমা আছে প্রায় সাত শতাধিক নমুনা। ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শেরপুর জেলার কোনো নমুনাই পরীক্ষা হচ্ছে না। ওই এলাকার রোগীদের চিহ্নিত করতে না পারায় বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, সেই সঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি। জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে আরও একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও অনুমোদন আসছে না।

শেরপুরের সিভিল সার্জন একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, ‘মমেক পিসিআর ল্যাবে ২১ এপ্রিল থেকে শেরপুর জেলার কোনো নমুনাই পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ৫৫৬টি নমুনার মধ্যে এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮৬টি’র। করোনা পজিটিভ এসেছে ২৪ জনের দেহে। তবে এক সপ্তাহ ধরে ১৭০টি নমুনা আটকে আছে। সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে আমরা অনেক টেনশনে আছি।’

ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, ময়মনসিংহ জেলা থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে ৯১৮টির। তার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ১০৮টির। আরও ২৬৭টি নমুনার পরীক্ষা অপেক্ষমাণ।

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ জেলা থেকে ৯৮৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পজিটিভ এসেছে ৩৩টির। কিন্তু জেলা থেকে মোট কতটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কতটি এখনও বাকী রয়েছে, তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি ডা. তাজুল।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ৯০৩টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। করোনা পজিটিভ এসেছে ৪৪ জনের দেহে। এ জেলা থেকে মোট কতটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কতটির পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছে, তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনিও।

Share this post

scroll to top