করোনা উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুরে জাতীয় নির্বাচন

করোনাভাইরাসের মহামারির বিরুপ প্রভাবে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি মন্দার দিকে ঝুঁকছে এবং কর্মনিরাপত্তা পড়েছে ঝুঁকির মুখে। চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে দেশবাসীর। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। শুক্রবার করোনা উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ভোটারদের প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক আর হাতে গ্লাভস। তাদের একজন ৪২ বছর বয়সী মালিনি নাথান, পেশায় কমিউনিকেশন্স এক্সিকিউটিভ। করোনার মধ্যেও ভোট দেওয়ার পক্ষে তিনি, ‘আমি মনে করি মহামারির মধ্যেও ভোট দেওয়া যায়। কারণ এই মুহূর্তে পরিস্থিতি গুরুতর নয় এবং সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।’

ভাইরাসের চেয়েও মহামারির প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া অন্য সংকট নিয়ে চিন্তিত এই কর্মকর্তা, ‘আমি যে বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা হলো স্বাস্থ্যসেবা, চাকরি নিরাপত্তা ও অবসর।’ নাগরিকদের প্রত্যেককে বিকল্প উপায়ে ভোটের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল। একটি পোলিং স্টেশনে কোনও ভোটারকে পাঁচ মিনিটের বেশি থাকতে দেওয়া হয়নি। সেখানে তারা নিজেরাই আইডি কার্ড স্ক্যান করেছেন, তাদের হাত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেছেন এবং ব্যালট পেপার ধরার আগে ডিসপোজেবল গ্লাভস পরেছেন।

কোভিড-১৯ রোগী ও যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা ভোট দিতে পোলিং স্টেশনে আসেননি। কিন্তু একটি ভ্রাম্যমাণ পোলিং টিম বিদেশ ফেরত ও হোটেলে আইসোলেশনে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ানদের রুমে রুমে গেছেন ব্যালট বক্স নিয়ে।

ভোট দেওয়া শেষ হলে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ব্যালট পেপার গণনা করা হবে জানা গেছে। শনিবার প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ফলাফল।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা সরকারি দল পিপল’র অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) প্রত্যাশা নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হবেন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং।

মহামারি শুরুর পর সিঙ্গাপুরে সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ২৬ জন।

Share this post

scroll to top