কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল

কারবালার শোকাবহ ঘটনা স্মরণের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা। দিনটি রাসূল (সাঃ) এর দৌহিত্র ও হজরত আলী (রাঃ)-এর পুত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা:)-এর শাহাদতের শোকাবহ স্মৃতিবিজড়িত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহরম শুক্রবার ইমাম হুসাইন (রা:) ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ)-এর পুত্র ইয়াজিদের সৈন্য বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন। ইসলামের খেলাফত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে বংশানুক্রমিক রাজতান্ত্রিক শাসন এবং ইসলামি শরিয়তবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করায় তাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। ইসলামের ইতিহাসে এ এক মর্মন্তুদ ঘটনা, শোকাবহ দিন।

আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকার হোসেনি দালান থেকে। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায় এই ঐতিহ্যবাহী মিছিলের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঘোড়া, কবুতর ও নিশানসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। তাজিয়া মিছিল রাজধানীর জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি লেক এলাকায় শেষ হবে।

এর আগে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকেই হোসেনি দালান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলিমরা।

তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কিছুটা ভিন্ন তাজিয়া মিছিল। এ বছর তাজিয়া মিছিলে ঢোল বাজিয়ে ছুরি, তলোয়ার ও লাঠিখেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে এতে কিছুটা মণক্ষুন্ন হলেও মিছিল উপলক্ষে নেয়া পুলিশের নিরাপত্তার তিনি খুশি।

এদিকে তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তবেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। সে কারণে অনেকেরই ভেতরে ঢুকতে দেরি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ দিনটি পালন করে।

Share this post

scroll to top