স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের(বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড)মহাপরিচালক অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ চৌধুরী।
গতকাল (২৩ নভেম্বর) সোমবার বেফাক অফিসের কার্যদিবসে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। জমাদানের পর বেফাক কমিটি পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বয়স ৭৫ হয়েছে। এখন শারিরিক ও বয়োজ্যেষ্ঠতার কারণে বিভিন্ন রকমের মানসিক পেরেশানিতে আছি। তার উপর কারও পক্ষ থেকে প্রেসার ক্রিয়েট করায় আমি নিজেকে এ কাজের জন্য আর যোগ্য মনে করছি না। বিশেষত বর্তমানে বেফাকের আমেলাকেন্দ্রীক যে আন্দোলন ও কাদা ছোড়াছুড়ি দেখা দিয়েছে তাতে আমি আর থাকতে পারছি না। সব মিলিয়ে এখন আমার ইবাদাতের বয়স। তাই শেষ বয়সে আল্লাহ-বিল্লাহ করে কাটিয়ে দিতে চাই।
তিনি জানান, আমার শারীরিক ও মানসিক অনেক পেরেশানির কারণে আরও আগেই পদত্যাগ করার দরকার ছিল। আমি এতদিন যা কাজ করেছি তা মনোবলের উপর ভিত্তি করে করেছি। এখন শারিরিক সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তাই যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জানা গেছে, অধ্যাপক জোবায়ের আহমদ চৌধুরী বেফাকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন গত ১৪৩৬ হিজরী সনের সফর মাসের ২৪ তারিখে। এরপর ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে বেফাককে নিয়ে গিয়েছেন এক অন্যন্য উচ্চতায়। তিনি বেফাকের সাবেক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. ও মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের সময়ে বেশ সুনামের সাথে কাজ করেছেন। এরপর গতকাল সোমবার (২৩ নভেম্বর) পদত্যাগ করলেন তিনি।
জানা গেছে, বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের এর হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করলে কমিটি উক্ত পদে তাকে মনোনয়ন দেন।