এই সরকারের পতন ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে না : আমীর খসরু

বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপি এ অনশনের আয়োজন করে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এত নিচে নেমে গেছে, দৈনন্দিন জীবনে তারা হিমশিম খাচ্ছে। নিম্নআয়ের বহুলোক এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। তারা (সরকার) প্রতিনিয়ত মাথাপিছু আয়ের বক্তব্য দিচ্ছে; মাথাপিছু আয়ের প্রকৃত সঠিক চিত্র হচ্ছে আরো বেশি বাংলাদেশের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এটাই হচ্ছে সত্য। মাথাপিছু আয় যদি বেড়ে থাকে তাহলে মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে কিভাবে যায়; ক্রয় ক্ষমতার নিচে কিভাবে যায়?’

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, এর পেছনে কয়েকটি কারণ হচ্ছে- পণ্যগুলো তৈরি করার যে উপাদানগুলো রয়েছে এবং এগুলো পরিবহন করে বাজারে আনার যে উপকরণগুলো রয়েছে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, প্রতিটি খাতে আওয়ামী চাঁদাবাজির কারণে এটার উপর যোগ হয়েছে আরো কিছু খরচ। হাট-বাজারগুলোতে এখন আর নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে এসে আরো কিছু যোগ হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এই সরকারের পতন ছাড়া দ্রব্যমূল্য আগামী দিনে কমার কোনো সুযোগ থাকবে না। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

খসরু বলেন, আগামী দিনে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারের পতন করতে হলে সমস্ত দল-মত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে এক জায়গায় আনতে হবে। ঐক্যমত্য পোষণ করতে হবে এই সরকারের পতনের ব্যাপারে।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাধীন বিচার বিভাগের পক্ষে, আইনের পক্ষে, বাকস্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের নিরাপত্তার পক্ষে, বাংলাদেশের সংবিধানের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, দুর্নীতির বিপক্ষে, সমস্ত শক্তিকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করা হবে। বিএনপির একা নয় সমস্ত শক্তিকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সে কথাটিই বলেছেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।

Share this post

scroll to top