এই প্রজন্মের তরুণদের প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এই প্রজন্মের তরুণদের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস।

বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব অনিয়ম-বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণদের সোচ্চার হওয়া, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকাসহ উদ্ভাবনী চিন্তার প্রশংসা করেন।

একই সঙ্গে এই প্রজন্মকে যেসব সংকটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস। এই বছরের আন্তর্জাতিক যুব দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বৈশ্বিক কার্যক্রমে যুব সম্পৃক্ততা’। এই প্রতিপাদ্য আলোকপাত করে কিভাবে তরুণরা তাদের কন্ঠস্বর ও কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পার্থক্য সৃষ্টি করে পৃথিবীকে জাতিসংঘ সনদের প্রতিপাদ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গির কাছাকাছি নিয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক যুব দিবসের বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই বছরের যুব দিবসটি এমন সময়ে এসেছে যখন যুবকদের জীবনযাত্রা এবং আকাঙ্খাগুলো কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারনে সাধারণ নিয়মে চলছে না । কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য প্রিয়জনদের প্রাণ হারাতে দেখেছেন।

‘তরুণ শরণার্থী, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, যুব মহিলা ও বালিকা এবং অন্যান্য ব্যক্তি যারা সংঘাত বা দুর্যোগে আক্রান্ত তাদের ঝুঁকি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘একটি প্রজন্মের মৌলিক গঠন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, স্বনির্ভরতা, স্বকীয়তা এবং বেড়ে ওঠার দিকে তাদের পদক্ষেপগুলো বাধাগ্রস্ত হয়েছে । ’

‘কেউ কেউ পরিবার চালানোর বোঝা গ্রহণ করেছেন, কেউ খাদ্যাভাবে পড়েছেন, কেউ বাড়িতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন, আবার কেউ আর কখনো পড়াশোনা শুরু করতে না পারার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ’

এই প্রজন্মের প্রশংসা করে এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই প্রজন্ম যথেষ্ট স্থিতিশীল, উপায়জ্ঞ এবং কর্মমুখীও বটে। তারা সেই যুব সমাজ যারা জলবায়ু বিষয়ক কর্মের দাবিতে সোচ্চার। তারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এবং লিঙ্গ সমতার জন্য আন্দোলন করছেন এবং তারাই একটি অধিকতর টেকসই বিশ্বের রক্ষক। ’

তিনি বলেন, ‘অনেক যুব মহিলা ন্যায়বিচার এবং জলবায়ু সংক্রান্ত আন্দোলনের প্রথম সারিতে রয়েছেন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ সাড়া প্রদানেরও প্রথম সারিতে কাজ করছেন। ’

তরুণদের সম্ভাবনায় অবদান রাখতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই প্রজন্মের সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহারের জন্য তরুণদের অন্তর্ভুক্তি, অংশগ্রহণ, সংগঠন এবং উদ্যোগগুলোতে অনেক বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। ’

‘যুবকদের সুরক্ষা, মর্যাদাবোধ এবং সুন্দর জীবন উপভোগ করার সুযোগ প্রদান এবং তাদের দুর্দান্ত সম্ভাবনার পরিপূর্ণতায় অবদান রাখার জন্য আমি বিশ্বজুড়ে সকল নেতাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ’

এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘তারা (তরুণরা) শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী, যারা সামাজিক দূরত্বের সময়ে সামাজিক সংহতি প্রচার করছে, বিশ্বব্যাপী সহিংসতার অবসান ঘটাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষের সময়ে সম্প্রীতির ডাক দিচ্ছে। ’

Share this post

scroll to top