এই দ্বীপের রহস্য জানলে আপনি যেতে চাইবেন সেখানে

কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি নাগাদ অগ্ন্যুৎপাত শেষ হয়। দেখা যায়, হুঙ্গা টোঙ্গা ও হুঙ্গা হা’আপেই নামের দু’টি পুরনো দ্বীপের মাঝখানে এই নতুন দ্বীপ জেগে উঠেছে।

দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য ড্যান স্লেব্যাক নামের এক বিজ্ঞানী নাসা থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করে এই অগ্ন্যুৎপাত লক্ষ্য করছিলেন। তিনি সশরীরে দ্বীপটি দেখতে চান।

তিনি জানান, এটি এক আশ্চর্য দ্বীপ। সাধারণত এই ধরনের দ্বীপ কয়েক মাস জেগে থাকে। তার পরে তা সমুদ্রে তলিয়ে যায়। কিন্তু এই দ্বীপটি টিকে থাকে চার বছর। গত দেড় শ’ বছরে এই জাতীয় কোনো দ্বীপ এতদিন টিকে থাকেনি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞানীরা দ্বীপে পা রাখেন। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে তারা দ্বীপটির যেমন পরিচয় পেয়েছিলেন, দ্বীপটি তেমন নয়। এর উত্থান ভৌগোলিকভাবে বেশ বিস্ময়কর। তারা সেখানকার মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে নাসায় ফিরে যান।

কেন এই দ্বীপের প্রতি বিজ্ঞানীরা এত আগ্রহী? এ প্রসঙ্গে স্লেব্যাক জানিয়েছেন, দ্বীপটি থেকে তারা মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্য। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে যখন পানি ছিল, তখন এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট দ্বীপ সেখানেও ছিল। পৃথিবীর এই দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানে মঙ্গলের পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা যেতে পারে।

সূত্র : ইন্টারনেট

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top