উন্নয়ন বিএনপিও চায়, তবে জনগণের পকেট কেটে রাস্তায় নামিয়ে নয়

Faqrulআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আয়না দেখতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার ঠাকুরগাঁও শহরের তাতীঁপাড়া নিজের পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, জাতির সমস্ত স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট কেটে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে লুটেরা এ সরকার। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এখন মেগা লুটপাট চলছে।

ইভিএমের ভোট গ্রহণ নিয়ে আবারও সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি সবচেয়ে খারাপ ব্যবস্থা ইভিএম। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে ব্যবসা করছে। যেটা ১২শ’ টাকার মেশিন, কিনেছে ৩৬শ’ টাকায়! প্রতিটি জিনিসের মূল্য দুই থেকে তিনগুণ দাম দিয়ে কিনেছে নির্বাচন কমিশন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে না এ সরকার। তাদের একমাত্র চিন্তা তারা কী করে ধনী হবে, বিদেশে বাসা বানাবে, টাকা পাচার করবে।

তিনি বলেন, সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সে সঙ্গে জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেয়া। তবে এই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়।

সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলুন একবার আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে। কী করছেন আপনারা? আজকের এই সরকার জাতির সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে। উন্নয়ন বিএনপিও চায়, কিন্তু সেই উন্নয়ন মানে সাধারণ জনগণের পকেট কেটে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া নয়।

আসন্ন পৌরসভার চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থন দেখা যায়- এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, ভোট চুরি ও ডাকাতি করে যদি না নেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করবে।

বিগত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে সরকারদলীয় লোকেরা জোর করে ভোট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি পৌর নির্বাচন দেখেছি প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোট ডাকাতি করে নিয়েছে ঠিক ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো।

Share this post

scroll to top