উত্তাল বলিভিয়া : সঙ্কট সহসাই কাটছে না

বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর চলমান বিশৃঙ্খলার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভেনেজুয়েলা ও কিউবাকে দায়ী করেছে দেশটির বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যেই ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গত সপ্তাহে বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস, পদত্যাগ করেছে তার প্রশাসনের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা। মোরালেসকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে মেক্সিকো। অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিরোধী দলীয় সিনেটর জেনিন আনেজ।

বামপন্থী নেতা মোরালেসের সাথে কিউবা, ভেনেজুয়েলাসহ অঞ্চলটির একই আদর্শের নেতাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো।

তবে এরপরও বিরোধীদের সাথে মোরালেস সমর্থকদের সংঘর্ষ চলছে। গতকালও দুজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন লঙ্গারিক বলেছেন, কিউবার অন্তত ৭২৫ নাগরিককে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই চিকিৎসক, যারা বলিভিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করছেন। বিক্ষোভে কিউবানদের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানান মন্ত্রী। এছাড়া একই কারণে ভেনেজুয়েলার সব কূটনীতিককে বলিভিয়া ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে মেক্সিকোয় আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেস বলেছেন, তিনি দেশে ফিরতে পারেন। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন দেশে ফিরলেও তাকে বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আর এর প্রতিক্রিয়ায় নতুন সরকারের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশে ফিরলে মোরালেসকে নির্বাচনে কারচুপির জন্য আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে বিশেষ দূত পাঠাতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র জানান, জেন আরনল্টকে নিজের ব্যক্তিগত দূত হিসেবে বলিভিয়ায় নিয়োগ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

Share this post

scroll to top