Connect with us

ভ্রমণ

ঈদে ঘুরে আসতে পারেন রুপগঞ্জের ‘বাঙ্গাল বাড়ি’

Published

on

ঈদে সন্তান সন্ততি স্বজনদের বাড়তি আনন্দ দিতে ঘুরে আসতে পারেন রাজধানীর নিকটে রুপগঞ্জের বাঙ্গাল বাড়ি।  ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে বাঙ্গাল বাড়ি।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রাজউকের পূর্বাচল উপ-শহরের ৯ নং সেক্টরে বাঙ্গাল বাড়ির অবস্থান। গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পুরোনো দিনের তৈজসপত্র বাঙ্গাল বাড়িতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যেখানে দর্শনার্থীরা তাদের পরিবারকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

জানা যায়, ৫ বছর আগে গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে বাঙ্গাল বাড়িটি গড়ে তোলেন গবেষক, কলামিস্ট ও রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আলীম। পরে সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুরোনো দিনের তৈজসপত্র এনে সংরক্ষণ করতে শুরু করেন। বর্তমানে বাঙ্গাল বাড়িটি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। ঈদ ও বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে বাড়িটি।

বাঙ্গাল বাড়িতে রয়েছে নাগরদোলা, নৌকা, মুক্তিযুদ্ধকালীন রেডিও, পালকি, গরুর গাড়ি, বাঁশি, তবলা, চাই, বেহালা, খরমসহ অসংখ্য পুরোনো দিনের তৈজসপত্র। এছাড়া দর্শনার্থীরা ছন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ছাউনিতে বসে মাটির চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মনের প্রশান্তি বাড়াতে পারবেন। আবার কেউ চাইলে মাটির বাসনে দুপুরের খাবারটাও সেরে নিতে পারবেন। বাড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা আছে। সেখানে যে কেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারবেন।

গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে আসা আলামিন বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আজ হারানোর পথে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পুরোনো দিনের সংস্কৃতি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। এখানে এসে ছেলেমেয়েরা পুরোনো দিনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে।’

সাইদুর নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে এখানে ঘুরতে এসেছি। ঢাকার ব্যস্ত জীবন থেকে একটুখানি অবসর পেতে বাঙ্গাল বাড়ির প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে এসেছি। এখানে পুরোনো দিনের তৈজসপত্রের একটি জাদুঘর রয়েছে। জাদুঘরে অনেক ধরনের ঐতিহ্যবাহী তৈজসপত্র দেখেছি। ঢাকার এতো কাছে এতো সুন্দর মনোরম জায়গা আছে, না দেখলে বিশ্বাসই হতো না।’

দর্শনার্থী আলম হোসেন জানান, ক্ষণিকের জন্য শহুরে জীবন থেকে মুক্ত হয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে থাকা যায়, তাহলে মন্দ হয় না। তাই আমি মাঝে মাঝেই বাঙ্গাল বাড়ির মুক্ত পরিবেশে ঘুরতে চলে আসি।’

বাঙ্গাল বাড়ির লায়ন মীর আব্দুল আলীম বলেন, নতুন প্রজন্মকে পুরোনো দিনের তৈজসপত্র ও আসবাবপত্র সম্পর্কে ধারণা দিতেই বাঙ্গাল বাড়িটি নির্মাণ করার চিন্তা করি। দিন দিন বাঙ্গাল বাড়ি দর্শনার্থীদের কাছ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাঙ্গাল বাড়িতে রয়েছে গরুর গাড়ি, নাগরদোলাসহ বিনোদনের বিভিন্ন জিনিস। এছাড়াও আছে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন তৈজসপত্র।

Continue Reading

নেত্রকোনা জেলা

নেত্রকোনার ‘মিনি কক্সবাজার’ এখন পর্যটকশূন্য, নিষ্প্রাণ

Published

on

ভরা বর্ষা মৌসুম চলছে। কিন্তু বরাবরের মতো এবার পর্যটকদের দেখা মিলছে না ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত নেত্রকোনার উচিতপুর নৌঘাটে। কমেছে সাধারণ যাত্রীর সংখ্যাও। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেখা দিয়েছে এমন সঙ্কট ও নিষ্প্রাণ অবস্থা। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে পর্যটন ও ঘাটকেন্দ্রিক স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর। তিন-চার মাসে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে অন্তত সাত-আট কোটি টাকা।

জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি বড় নৌঘাটের নাম উচিতপুর। হাওরাঞ্চলের ছোটখাটো একটি নৌবন্দরও বলা যায় এটিকে। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে এ ঘাটটি চালু হয়। তিন-সাড়ে তিনমাস পর বর্ষা শেষ হয়ে গেলে ঘাটের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। সিলেট, আজমিরিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি ও মদন ছাড়াও হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার নৌরুটে এক থেকে দেড় শতাধিক ট্রলার চলাচল করে এখান থেকে। এ কারণে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর ভিড়ে এমনিতেই রমরমা থাকে ঘাটটি।

বছর পাঁচেক ধরে উচিতপুর হয়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। এর কারণ উচিতপুর ঘাটের পর থেকেই বিশাল হাওর এলাকার শুরু। জেলা সদর থেকে সরাসরি সড়কপথে যাওয়া যায় সেখানে। অন্যদিকে উচিতপুর ঘাটের অদূরে বালই নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে একটি সুদৃশ্য পাকা সেতু নির্মাণের পর ওই জায়গাটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। ফলে পর্যটকদের অপার আকর্ষণে পরিণত হয়। লোকমুখে জায়গাটির নাম হয়ে ওঠে ‘মিনি কক্সবাজার’। কারণ উচিতপুর ঘাট থেকে দিগন্তবিস্তৃত হাওরের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ঘাট থেকে ট্রলার নিয়ে যে কোন সময় হারিয়ে যাওয়া যায় হাওরের গহীনে। হাওরের উত্তাল ঢেউ ভেদ করে দূরন্ত গতিতে ছুটে চলা ইঞ্জিনচালিত নৌযানের ছাদে দাঁড়ালে যে কারও মনে হয়- এ যেন সত্যিই আরেক সমুদ্র।

তাই প্রতিদিন দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু নারী-পুরুষ ছুটে আসেন সেখানে। তাদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সেখানকার নৌযান মালিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। গেল বছরের (২০২০) ৫ আগস্ট অতিরিক্ত পর্যটকবাহী একটি ট্রলার ডুবে ১৮ জনের প্রাণহানিও ঘটে উচিতপুরে।

এদিকে যাত্রী ও পর্যটকদের ভিড়কে কেন্দ্র করে উচিতপুর নৌঘাটটি ইতিমধ্যে একটি বহুমাত্রিক ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মদন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ট্রলার মালিক সেখানে ট্রলারের ব্যবসা করছেন। এসব ট্রলার পরিচালনার সঙ্গে জড়িত আছেন আরও প্রায় তিন-চারশ শ্রমিক-কর্মচারী। এছাড়া উচিতপুরে গড়ে ওঠেছে অন্তত ৫০টি ছোট-বড় দোকানপাট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুড, মনোহারি, চা ও কফির দোকান, টং দোকান, ভ্রাম্যমান দোকান, ফার্মেসি, গাড়ির গ্যারেজ, মিনি পার্ক ইত্যাদি। আছে অনেক রিক্সা, সিএনজি এবং ইজিবাইক চালকও। সরকারি উদ্যোগে উচিতপুর ঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে হাওরবিলাস কেন্দ্র। পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও ডুবুরি ইউনিট গঠনসহ পর্যটনশিল্প বিকাশে আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর।

কিন্তু এত আয়োজনের পরও এবারের বর্ষায় উচিতপুর ঘাট যেন নিষ্প্রাণ। এমনিতেই এবার বর্ষার পানি এসেছে একটু দেরিতে। ফলে অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে ঘাটের কার্যক্রম। তারওপর আবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলছে নানা রকম বিধিনিষেধ ও লকডাউন। ফলে কোন পর্যটকের দেখা মিলছে না। নিয়মিত যাত্রীর সংখ্যাও একেবারে কম। ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার ৮টি রুটে মাত্র ২০টি ট্রলার নিয়মিত চলাচল করছে। আর প্রাইভেট ট্রলার চলছে হাতেগোনা কয়েকটি।

মোহন মিয়া নামে একজন ট্রলার মালিক জানান, উচিতপুর থেকে খালিয়াজুরীর ইছাপুর বাজার পর্যন্ত নিয়মিত একটি যাত্রীবাহী ট্রলার চালান তিনি। একই রুটে গেল বছর প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা আমদানি হয়েছে তার। কিন্তু এবার আমদানি হচ্ছে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা। অথচ প্রতিদিন ডিজেল, মবিল, ঘাটভাড়া এবং শ্রমিকদের মজুরি বাবদই তার খরচ হচ্ছে সমপরিমাণ টাকা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘রুটটি (চলাচলের লাইন) হাতছাড়া করতে চাচ্ছি না। তাই লাভ না পেয়েও ট্রলার চালাচ্ছি।’ একই রকম বক্তব্য উচিতপুর-জয়বাংলা রুটে চলাচলরত ট্রলার মালিক সারোয়ার হোসেনেরও। তিনিও বলেন, গত বছর প্রতিদিন যেখানে তিন থেকে চার হাজার টাকা আমদানি হতো, এবার সেখান থেকে অর্ধেকও পাচ্ছি না। ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে ৮০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রলারটি চালাতে হচ্ছে।’

‘একদিন সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকাও পেয়েছি’- যোগ করেন তিনি।

এদিকে প্রাইভেট ট্রলার (নির্ধারিত রুট ছাড়া) চালকদের অবস্থা আরও খারাপ। মুসা মিয়া নামে এক প্রাইভেট ট্রলারের মালিক জানান, অন্যান্য বছর এই ঘাটে অন্তত ৫০-৬০টি প্রাইভেট ট্রলার নিয়মিত চলত। তারা পর্যটকদের নিয়ে হাওরের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসা করতেন। কিন্তু এবার মাত্র ৬-৭টি চলে। তাও কেউই প্রতিদিন ভাড়া পায় না। দুই-তিনদিন অপেক্ষার পর ছোটখাটো একটা ট্রিপ মিলে। চাহিদা না থাকায় ভাড়াও কম। তাই ট্রলারের মালিকরা সবাই এবার মারাত্মক ক্ষতির মুখে।

উচিতপুর নৌঘাটের ইজারা নিয়ে চরম বিপাকে আছেন ইজারাদার লাহুত আকন্দ। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ঘাটটি প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হয়। গত বছর এই ঘাটের ইজারা মূল্য ছিল ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু গেল কয়েক বছর ভালো লাভ হওয়ায় এবার অনেকে ইজারা নিতে আগ্রহ দেখায়। এ কারণে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। প্রতিযোগিতার কারণে এবার ইজারা মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র তিনমাসের মধ্যে আমাকে এই পরিমাণ টাকা তুলতে হবে। কিন্তু প্রতিদিন আমার আমদানি হচ্ছে মাত্র ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এভাবে আমদানি হলে তিনমাসে টাকা উঠবে সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা। তাই এবার লাভ তো দূরের কথা, উপরন্তু লাখ বিশেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। অথচ আমরা অন্তত ৫০ লাখ টাকা তোলার টার্গেট করেছিলাম।’

এদিকে লোকসানের মুখে ঘাটের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। পাঁচ-ছয় বছর যাবত এই ঘাটে একটি খাবারের হোটেল পরিচালনা করেন স্বপন মিয়া। এবারও হোটেলের ঘরসহ আসবাবপত্র মেরামত করে ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু যাত্রী ও পর্যটক না থাকায় শেষ পর্যন্ত ব্যবসা চালু করেননি। ইদু মিয়া নামে অপর এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্যবসা বন্ধ রাখলে বসে খেতে হবে। তাই কোনরকমে হোটেলটি চালু রেখেছি। কিন্তু কাস্টমার নেই। সারাদিনে দুই-তিন হাজার টাকাও বেঁচতে পারি না।’

এবারই প্রথম এককালীন ২২ হাজার টাকায় একটি জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে ‘মাস্টার বার্গার শপ’ নামে একটি ফাস্টফুডের দোকান শুরু করেছিলেন রূপক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। ঘর নির্মাণ ও আসবাবপত্র বাবদ বেশকিছু টাকাও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কিন্তু ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, লকডাউন ও যাত্রী না থাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। এ কারণে তিনিও দেখছেন লোকসানের মুখ। একটি গাড়ির গ্যারেজের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার রাখতাম। অনেক সময় স্থান সঙ্কুলান হতো না। একেকটি মোটরসাইকেল থেকে দৈনিক ভাড়া পেতাম ৩০ টাকা। আর বড় গাড়ি থেকে দেড়শ টাকা। এবার ৫-৬টি মোটরবাইকও আসে না।’

উচিতপুরের অদূরে বালই সেতুর পূর্বদিকে ‘তাসিন ফুডপার্ক’ নামে একটি মিনি পার্ক কাম রেস্টুরেন্ট দিয়েছিলেন রাহি নামের এক যুবক। গেল কয়েক বছর জমজমাট ব্যবসা করেছেন তিনি। অনেকের মতে, উচিতপুরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টির পেছনে পানির ওপর ভাসমান এই পার্কটিও একটি কারণ। উচিতপুরে কেউ গেলে ওই পার্ক না দেখে ফেরেন না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি তাকেও পার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে। রাহি বলেন, ‘ব্যবসাটি চালাতে গেলে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতিমাসে কর্মচারীদেরও দিতে হয় অনেক টাকা। ক্রেতা না থাকলে রিটার্ন আসবে কোত্থেকে?’

পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় এই ঘাট এলাকার মনোহারি ব্যবসায়ী, চা-কফির দোকানদার, টং দোকানদার এবং অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অবস্থাও তথৈবচ। সবার চোখেমুখেই হতাশার ছাপ। হতাশ মদন-উচিতপুর রুটের রিক্সা, ইজিবাইক এবং সিএনজির চালকরাও। এমনকি নেত্রকোনা-মদন রুটের বাস মালিক-শ্রমিকরাও বর্ষা মৌসুমে উচিতপুরের প্রচুর যাত্রী পেতেন।

এদিকে সরকারি উদ্যোগে সেখানে একটি হাওরবিলাস কেন্দ্র (মিনি পর্যটন কেন্দ্র) নির্মাণ করা হলেও পরিত্যক্ত ভবনের মতো সেটিও উন্মুক্ত পড়ে আছে। কেউ যেন ফিরেও তাকায় না নতুন নির্মিত ওই ভবনটির দিকে। আর করোনা পরিস্থিতির কারণে এটি চালুও করেনি স্থানীয় প্রশাসন।

উচিতপুর ঘাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা শ্রেণি-পেশার লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে এই ঘাটে ট্রলার ব্যবসা, মনোহারি, হোটেল, ফাস্টফুড, চা-কফি, টং দোকান, ভ্রাম্যমাণ দোকান, মিনিপার্ক, যাত্রী পরিবহন এবং ইজারা আদায়- প্রভৃতি সব ব্যবসা খাত মিলিয়ে অন্তত সাত-আট কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে গোটা এলাকাটির অন্তত দেড় হাজার মানুষের জীবনব্যবস্থার ওপর। এছাড়া ঘাটটির প্রতি দূরদূরান্তের মানুষের যে আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল- তাতেও ভাটা পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মদন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে আমরা বর্ষার আগেই নৌযান চালকদের প্রশিক্ষণ, নৌ দুর্ঘটনা রোধে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ (লাইফ জ্যাকেট, বয়া ইত্যাদি), নৌযানের তালিকা তৈরি, ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ মোতায়েন প্রভৃতি কাজগুলো সম্পন্ন করে রেখেছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকার সব ধরনের জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় উচিতপুরেও পর্যটকদের আাসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

Continue Reading

ভ্রমণ

শখের সূর্যমুখী বাগান এখন বিনোদন কেন্দ্র

Published

on

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি অফিসের প্রদশর্নী, প্রণোদনা ও পূর্ণবাসনসহ স্থানীয় কৃষকদের নিজ উদ্যোগে- খানিকটা শখের বসেই চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। তবে শখের সেই ফুলের ক্ষেত এখন স্থানীয়দের কাছে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে কৃষকদের অনাগ্রহের কারণে সূর্যমুখী ফুলের চাষ খুব একটা হয় না। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে তিন গুণ বেশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছে কৃষকরা।

ফলনে সন্তুষ্ট হয়ে আগামীতে কোলেস্ট্রোরেল ফ্রি, হার্ট  ও উচ্চ রক্তচাপের জন্য উপকারী এই ফসলটি আরও বেশি জমিতে চাষ করতে চান কৃষকরা। একই কথা বলছে স্থানীয় কৃষি অফিসও।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে মাত্র দুই হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছরে তিন গুণ বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে কৃষি রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ৪০ একর জমিতে কৃষি অফিসের প্রদর্শনী, ৩০ একর কৃষি প্রণোদনা ও পূর্ণবাসন এবং বাকি জমিতে নিজ উদ্যোগে কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন।

উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা, নাগরী, তুমলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালীয়া, মোক্তারপুর, জামালপুর ও বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের সবখানে এই তৈলজাত ফসলটির চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বারি সূর্যমুখী-৩ ও আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেশি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার এ উপজেলায় আট হেক্টর জমিতে ফসলটির চাষ হচ্ছে।

এদিকে হলুদ রংয়ের চাদর বিছিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা ক্ষেত ভরা ফুল দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেন  না অনেকেই। ছবি তুলতে ক্ষেতের ভিতর ছুটছেন। অনেকে আবার বন্ধু-বান্ধবের কাছে খবর পেয়ে পরিবারসহ বাগান দেখতে হাজির হচ্ছেন।

উপজেলার তুময়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের বাসিন্দা রনি হায়দার সুমন বলেন, ‘ফুল কে না ভালবাসে? তাছাড়া সড়কের পাশে এমন হলুদ আভা যে কাউকে সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে মিতালী করতে বাধ্য করবে।’

উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের গৃহবধূ সেচ্ছাসেবী নূসরাত কবির বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি, একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি আপার সূর্যমুখী ফুলের বাগানের একটি ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাই আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে চলে এলাম।’

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার তুমলিয়া গ্রামের সুকুমার পালমা এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। একই এলাকার দুবার্টি গ্রামের আব্দুর রহিম ভূইয়া অন্যের ৩৩ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে তৈলজাত এ শষ্যটির চাষ করেছেন। তারা জানান, হাজার হাজার দর্শণার্থী দলে দলে ছুটে আসছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘কৃষকদের আগ্রহ ও ভাল ফলনের কারণে আগামীতে কালীগঞ্জ উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও বৃদ্ধি করা হবে। তৈলজাত এ ফসলটি মানুষের প্রশান্তির খোরাক হিসেবেও মন্দ না।’

Continue Reading

ভ্রমণ

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ঠাঁই নেই হোটেলে

Published

on

সাপ্তাহিক ছুটিসহ ও একুশে ফেব্রুয়ারির টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। হোটেল-মোটেলগুলোতে ঠাঁই মিলছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশের ধারণা, গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সৈকতে সমবেত হন প্রায় তিন লাখ পর্যটক। আজ শনিবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আগামীকাল রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের সব কক্ষই পর্যটকে ভরপুর থাকবে।

এদিকে শুক্রবার সকালে থেকে রাত অবধি দেখা গেছে, হোটেলে রুম ভাড়া না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক পর্যটক বালিয়াড়িতেই অবস্থান করছেন, অনেকে সাগরতীরে। কেউ কেউ সড়কে পায়চারি করে সময় পার করছেন। তবে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন পর্যটকরা।

শুক্রবার সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা যায়, পর্যটকরা সৈকতে নেমে গোসল করছেন। আরও অনেকেই বালুচরে দৌড়-ঝাঁপে ব্যস্ত। কেউ দ্রুতগতির জেডস্কি নিয়ে নীল জলের বিশাল সমুদ্রে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছেন। আবার কেউ মুগ্ধ হচ্ছেন ছেলেমেয়েদের ঢেউয়ের তালে সমুদ্র স্নানের দৃশ্য দেখে।

সপ্তাহের অন্য ছুটির দিনের চেয়ে একটু যেনো আলাদা এবারের ছুটির আমেজ। টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা পাল্টে দিয়েছে সৈকতে দৃশ্যপট। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে। দলে দলে নামছেন তারা। প্রকৃতির বিশালতার কাছে যেন নিজেকে আত্মসমর্পণ করছেন।

শামীম ও নাসরিন দম্পতি বলেন, ‘শুক্র, শনি সাপ্তাহিক ও রোববার একুশে ফেব্রুয়ারির টানা ছুটি পেয়ে কক্সবাজারের ছুটে আসা। মূলত কক্সবাজারই আমাদের কাছে ঘুরে বেড়ানো প্রিয় স্থান। খুব ভাল লাগে এখানে।’

পর্যটক রিয়াদ বলেন, ‘ছুটি পেয়েছি, তাই কক্সবাজারে চলে এসেছি। এখানকার অপরূপ প্রকৃতি খুব ভালো লাগে, কাছে টানে। ফলে ছুটির সময়টা এখানে পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতি উপভোগ করব।’

এদিকে পর্যটকের আগমনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সৈকতের ফটোগ্রাফার, ঘোড়াওয়ালা, জেডস্কি ও বাইক চালকরা।

ফটোগ্রাফার কামাল বলেন, ‘বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। পর্যটকদের ছবি তুলে ভাল আয়ও হচ্ছে। আশা করি, আরও দুয়েকদিন ভাল ব্যবসা করা যাবে।’

জেডস্কি চালক রহিম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক। এই মৌসুমে মনে হয় সবচেয়ে বেশি পর্যটক এই সময়ে এলো। পর্যটকরা জেডস্কিতে চড়ে সাগর উপভোগ করছেন। ফলে আমাদের ব্যবসাও ভাল হচ্ছে।’

এদিকে তিন দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামায় হোটেল-মোটেলগুলোতে ঠাঁই মিলছে না। অনেকেই হোটেলে কক্ষ ভাড়া না পেয়ে সমুদ্রসৈকত ও সড়কে পায়চারি করছেন। পর্যটকদের অভিযোগ, হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, যানবাহনসহ সবখানে বাড়তি ভাড়া ও অসদচারণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি চরম হয়রানিতে পড়ছেন তারা। এসবের জন্য করোনা ও দালালচক্রকে দুষছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে পর্যটকদের হয়রানি নিরসন করা হবে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের যেন মেলা বসেছে। সাপ্তাহিক ও একুশে ফেব্রুয়ারির টানা তিন দিনের ছুটিতে তাদের পদচারণায় মুখর সাগরতীরসহ পর্যটন স্পটগুলো।
শুধু হোটেল, বালিয়াড়ি কিংবা সাগরতীর নয়; অনেক পর্যটক ইনানী, সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, রামুর রামকোট, পাতুয়ারটেক সৈকত দেখতেও ভিড় জমাচ্ছেন।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেলে রুম ভাড়া না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অবস্থান করছেন বালিয়াড়িতে। আবার অনেক পর্যটক অবস্থান করছেন সাগরতীরে। ভ্রমণে এসে অনেক পর্যটক হোটেল রুমের জন্য ঘুরছেন। কেউ চাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। পর্যটকদের অভিযোগ, তারা হয়রানি শিকার হচ্ছেন।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অবস্থান করা পর্যটক ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, ‘হোটেলের রুম আগে বুকিং করিনি। হঠাৎ করে পাঁচ জনের একটি টিম কক্সবাজারের ছুটে এলাম। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হোটেল মোটেল জোনে ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু কোনো রুম ভাড়া পাইনি। ফলে এখন সাগরের বালিয়াড়িতে অবস্থান করছি।’

প্রধান সড়কে সুগন্ধা পয়েন্টের মোড়ে অবস্থান নেওয়া পর্যটক রায়হান কবির বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার হোটেল সানসেট রিসোর্টে ১২০০ টাকায় রুম ভাড়া নিয়ে ছিলাম। কিন্তু শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রুম থেকে বের করে দিয়েছে। রুমের ভাড়া দ্বিগুণ দিতে চেয়েছিলাম তাও দেয়নি। পরে দেখলাম ১২০০ টাকার ওই রুম চার হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছে।’

পর্যটক শুক্কুর, কাইয়ুম ও ছৈয়দ বলেন, ‘সি ল্যান্ড গেস্ট হাউসে একটি রুম ভাড়া চেয়েছিলাম। তারা একদিনের জন্য ছয় হাজার টাকা চেয়েছে। পরে অতিরিক্ত টাকায় রুম ভাড়া নিয়ে চলে আসি।’

এদিকে টানা ছুটিতে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া ও হয়রানির জন্য দালালচক্রকে দুষছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

‘সি ল্যান্ড’ গেস্ট হাউসের ম্যানেজার জাহেদ বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা তো পুরো বছরই বসা ছিলাম। আর টানা ছুটির এই তিন দিনে কী পুরো বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, ‘কলাতলী থেকে শুরু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মোড় পর্যন্ত কয়েকটি দালালচক্র রয়েছে। যারা এই টানা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অসাধু উপায়ে হোটেল মোটেল রিসোর্ট ও কটেজগুলো থেকে বেশি ভাড়া আদায়ের ব্যবসা শুরু করেছে একটি দালাল চক্র। তারাই নানাভাবে পর্যটকদের হয়রানি করছে।’

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকত ও সড়কগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশের অবস্থান দেখা গেলেও হোটেল-মোটেল জোনে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসনের লোকজন দেখা যায়নি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সাকের আহমদ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্ট, পর্যটন স্পট ও বালিয়াড়িতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ফলে আগত পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সুতরাং যেখানে পর্যটকরা হয়রানির শিকার হবেন; অভিযোগ পাওয়া মাত্র সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যটকদের হয়রানি নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Continue Reading

Trending