ঈদের দিন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে স্পেশাল ট্রেন!

দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এদিকে মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বৃষ্টির দিন থাকলে ছাতা নিয়ে প্রবেশের উপর বিবেচনা করা হবে। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২ বছর পর এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ১৯৫তম ঈদুল ফিতরের বৃহত্তর ঈদের জামাত। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় ঈদের জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

লাখ লাখ মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে মাস্ক, টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছুই সাথে নিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা। মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে বৃষ্টির দিন থাকলে ছাতা নিয়ে প্রবেশের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

বুধবার সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সর্বশেষ সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবার ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবারের ঈদের জামাতে মাস্ক, টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সাথে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না মুসল্লিরা।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, ‘শোলাকিয়া ঈদগাহ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ৪টি ড্রোন ক্যামেরা, বাইনোকুলারসহ ৫ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তাছাড়াও মাঠে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে। এ কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৬ টি এ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম এবং ফায়ার ব্রিগেডের ২টি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সহ পুলিশের কুইক রেস্পন্স টিম থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, র‌্যাব- ১৪ (সিপিসি- ২), কিশোরগঞ্জের ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ।

Share this post

scroll to top