ই-পাসপোর্ট আবেদনের পর ১০ ধাপ অপেক্ষা করতে হয়

দেশে পাসপোর্টের বিষয়ে দিনে দিনে অ্যানালগের সময় ফুরিয়ে আসছে। ডিজিটালের দিকে অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। সেজন্য পাসপোর্ট সেবাপ্রার্থীদের জন্য ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ই-পাসপোর্ট শুরু হওয়ার পরপরই অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছেন অনেকে। তবে সাধারণ আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্ট পেতে প্রায় ৩০ দিন লাগছে। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পর পাসপোর্টের অবস্থান সহজেই জানতে পারবেন আবেদনকারী।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর (https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status) লিংকে গিয়ে সহজেই ই-পাসপোর্টের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে ‘স্ট্যাটাস চেক’ করতে পারেন। ই-পাসপোর্ট আবেদনের পর আবেদনকারীকে ১০ ধরনের স্ট্যাটাস দেখানো হয়।

১. ‘সাবমিটেড’ (Submitted)। পাসপোর্টের আবেদনটি সফলভাবে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েব সার্ভারে জমা হয়েছে।

২, ‘অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সিডিউল’ (Appointment Scheduled)। আবেদনকারীর সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ সম্পূর্ণ হয়েছে।

৩. ‘এনরোলমেন্ট ইন প্রসেস’ (Enrolment in Process)। এই বার্তাটি আবেদনকারীর আবেদনপত্রের হার্ড কপি (ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টসহ) পাসপোর্টঅফিসে  জমা হয়েছে। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায়। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-২ দিন লাগে।

৪. ‘পেন্ডিং এসবি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’ (Pending SB Police Clearance)। পাসপোর্টের নতুন আবেদন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ৩-১০ দিন লাগে। ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি সময় লেগে যায়। পুলিশ অফিসার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যতদিন সম্ভব ততদিন সময় নিতে পারবেন। তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হলেই রিপোর্ট দেন।

৫. ‘পেন্ডিং ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল’ (Pending Final Approval)। পুলিশ ভেরিফিকেশনে সন্তোষজনক রিপোর্ট দিলে আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালকের (এডি) অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-৪ দিন লাগে।

৬. ‘অ্যাপ্রুভড’ (Approved) বার্তাটিতে বোঝায়- অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (এডি) পাসপোর্টটি প্রিন্টের অনুমোদন দিয়েছেন। ধাপটি সম্পূর্ণ হতে ১-৩ দিন লাগে।

৭. ‘পেন্ডিং ইন প্রিন্ট কিউ’ (Pending in Print Queue) দেখলে সেবাপ্রার্থীকে বুঝতে হবে- পাসপোর্ট প্রিন্টে পাঠানো হয়েছে। ধাপটি শেষ হতে ৩-১৪ দিন লাগে।

৮. ‘পাসপোর্ট শিপড’ (Passport Shipped) বার্তাটি বোঝায়, পাসপোর্টটি সফলভাবে প্রিন্ট হয়েছে এবং তা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হচ্ছে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-৩ দিন লাগে।

৯. ‘পাসপোর্ট রেডি ফর ইস্যুয়েন্স’ (Passport Ready for Issuance) বলতে পাসপোর্টটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছেছে। আবেদনকারী দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন।

১০. পাসপোর্ট নেয়ার পর আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে ‘পাসপোর্ট ইস্যুড’ (passport issued) ম্যাসেজ যায়।

Share this post

scroll to top