ইস্পাত দৃঢ় মানসিকতার শক্তিতে নাজমুল করোনামুক্ত

দশ দিনের কঠিন লড়াইয়ের পর সুখবর দিলেন ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপু। করোনামুক্ত হয়েছেন বাঁহাতি এ স্পিনার।

বুধবার দুপুরে  নাজমুল ইসলাম অপু বলেছেন, ‘গতকাল দ্বিতীয় করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম। আজ রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। আমার সাথে বাবা-মারও টেস্ট করিয়েছিলাম। সবারই টেস্ট নেগেটিভ এসেছে।’

জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের জন্য নাজমুল ইসলাম অপুকে মানুষ যতটা না মনে রেখেছে, তার থেকে বেশি টেনেছে তার নাগিন নৃত্য। নিজের উইকেট সাফল্যের পর ভিন্নধর্মী উদযাপনে নাজমুল সবার নজর কাড়েন। শুধু দেশের মাটিতে নয় বিদেশের মাটিতেও তার নাগিন নৃত্য জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে মানুষের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন অপু। শুরুতে নিজের অর্থায়নে নারায়নগঞ্জের ফরাজিকান্দায় কয়েক দফায় ত্রাণ কার্যক্রম চালান। এরপর নিজের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ দেন। গত ২০ জুন তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে।

জাতীয় দলের হয়ে এক টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলা অপু জানালেন কিভাবে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন।

‘আমাদের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর শোনার পর কত মানুষ যে ফোন করে দোয়া করেছেন তা বলে বোঝাতে পারব না। অনেক মানুষ বাসার কাছে এসে দোয়া করেছেন। সাহস দেখিয়েছেন। ফোনে অজস্ত্র বার্তা পেয়েছি। সেগুলো আমার খুব কাজে এসেছে। মানুষের ভালোবাসা, আল্লাহর কৃপায় আমি সুস্থ হয়েছি।’– বলছিলেন নাজমুল।

বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন অপু। কথার ঝাঁপি খুলে বললেন,‘মা-বাবাকে নিয়ে বেশি চিন্তায় ছিলাম। উনাদের তো বয়স হয়েছে। ডায়াবেটিস ছিল। চলাফেরা ঠিকঠাক মতো করতে পারলেও করোনার জন‌্য তাদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম। আল্লাহর রহমত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন সামনে আরও সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। সবার আছে বাবা-মায়ের জন‌্য দোয়া চাই।’

ইস্পাত দৃঢ় মানসিকতা, ইতিবাচক মনোভাব, চিকিৎসকের পরামর্শ, নিয়মিত ব‌্যায়ামে নাজমুল সুস্থ হয়েছেন। তার মতে,‘করোনা হলে প্রচন্ড সাহস রাখতে হবে। আমি একদম পজিটিভ ছিলাম। সব সময় ভাবতাম ঠিক হয়ে যাবে…আমার কিছু হয়নি। আশিক ভাইয়ের (ক্রিকেট কোচ) সাথে কথা হয়েছিল। উনি করোনায় আক্রান্তের পর কি কি করেছিলেন সেগুলো সব আমাকে বলেছিলেন। আমি সেগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, সাহস রাখতে হবে। তাহলেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’

Share this post

scroll to top