ইউরোপে কমছে করোনার দাপট, নতুন পথে ফ্রান্স-স্পেন

করোনাভাইরাসে বিশ্বে ৪০ লক্ষাধিক লোকের সংক্রমিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই মহামারীতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপের দুই দেশ ফ্রান্স ও স্পেনের জনগণ লকডাউনের বিধিবিধান শিথিলের সুবিধা উপভোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মৃত্যুর গ্রাস সত্ত্বেও ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনার দাপট কমে আসার আভাস দেখা দেয়ায় তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করছে।

ফ্রান্সের কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, এপ্রিলের প্রথম দিকের পর থেকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমে সর্বনিম্ন ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে, নার্সিংহোমেও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। এ কারণে ফ্রান্স লকডাউনের ৮ সপ্তাহ পরে মানুষের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও সোমবার থেকে এই লকডাউন শিথিল হচ্ছে। লকডাউন শিথিল করার ব্যাপারে জুনের শেষ নাগাদ পর্যন্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্পেন সোমবার থেকে দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা সীমিত সামাজিক যোগাযোগের সুযোগ পাবে এবং রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডারে খাবার কিনতে পারবে।

দ্রুত লকডাউন তুলে নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন উদ্বেগের কারণে লকডাউন শিথিলে ধীর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।  দ্রুত লকডাউন তুলে নিলে সংক্রমন ছড়িয়ে পরতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে লকডাউন শিথিলে ধীর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ প্রথম পর্যায়ে লকডাউন শিথিল কার্যক্রমে কোভিড- ১৯ এর দু’টি হটস্পট মদ্রিদ ও বারসেলোনা বাদ রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, “ভাইরাস এখনো দূরে সরে যায়নি।”

সোমবার থেকে বেলজিয়াম কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করছে, জার্মানীর কিছু অংশে বার ও রেস্টুরেন্ট শনিবার থেকে পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে, সোমবার থেকে আরো শিথিল করা হবে। সার্বিকভাবে ইউরোপের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বাসস।

Share this post

scroll to top